শোভন-বৈশাখী একসঙ্গে আদালতে, কাটালেন ঘণ্টাখানেক, রত্না চাইলেন খোরপোষ

শোভন-বৈশাখী একসঙ্গে আদালতেবৈশাখী, শোভন ও রত্না

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শোভন-বৈশাখী একসঙ্গে কাটালেন অনেকটা সময়। তা-ও আবার আলিপুর আদালতে!

চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়— দু’জনকে একসঙ্গে এই প্রথম আদালতে দেখা গেল। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানি ছিল। সেখানে যেমন হাজির হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়, তেমনই শোভনের সঙ্গে দেখা গেল মেয়রের বান্ধবী বৈশাখীকে। ঘণ্টাখানেক শোভন-বৈশাখী আদালত চত্বরে ছিলেন।

গত বছরের নভেম্বর মাসে রত্নার বিরুদ্ধে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের মধ্যে টাকা আত্মসাতের বিষয়টিও ছিল। তার ঠিক আগেই নারদ-কাণ্ডে শোভনের নাম জড়ায়। প্রাথমিক ভাবে অনেকে ভেবেছিলেন, তদন্তের মুখ ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন শোভন। আর সে কারণেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু, সেই মামলা চলাকালীনই কলেজ শিক্ষিকা বৈশাখীর সঙ্গে মেয়রের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসে। মেয়র যদিও জানিয়ে দেন, কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন না।

হুমায়ুন কবীর, রাজনৈতিক ভাবে রঙিন এক চরিত্র। রঙিন কেন?

সেই জল অনেক দূর গড়ায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বকুনি-সহ দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্ব থেকে সরতে হয়। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। এর মধ্যেই রত্নার নামে বেশ কয়েক বার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শোভন। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, বেহালার বাড়ি থেকে তাঁকে জরুরি জিনিসপত্র আনতে দেওয়া হচ্ছে না। রত্না তাঁকে সে সব নিতে বাধা দিচ্ছেন। আবার বাড়ি ছেড়ে শোভন বর্তমানে গড়িয়াহাটের যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেখান থেকে নাকি তাঁকে ভয় দেখিয়ে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন রত্না, এই অভিযোগেও পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শোভন।

এর পর এক দিন দেখা যায়, মাঝরাতে শোভনের ফ্ল্যাটের নীচে ধর্নায় বসেছেন রত্না এবং তাঁর মেয়ে। পুলিশে অভিযোগ করেন মেয়র। রত্নাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে যদিও জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সময় রত্নার দাবি ছিল মেয়ের বিদেশে পড়তে যাওয়ার বিসায় সই করছেন না শোভন। মেয়র যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দেন।

এ দিন আদালতে সেই মেয়ের পড়াশোনার খরচ বাবদ মাসিক দেড় লক্ষ টাকা দাবি করলেন রত্না। এ ছাড়াও বিবাহবিচ্ছেদের মামলার খরচ বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন তিনি। আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়েরা বিচারক শান্তনু মিশ্রের এজলাসে রত্নার তরফে তাঁর আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত মেয়রকন্যার পড়াশোনার খরচ বাবদ মাসিক দেড় লক্ষ টাকা এবং আইনি খরচ বাবদ এককালীন ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করা করেন।