সারদা মামলায় জামিন দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের, ৭ বছর পর মুক্তি পেয়েও মুক্ত নন

সারদা মামলায় জামিন দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সারদা মামলায় জামিন দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ৭ বছর পর। শনিবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে জামিনের অনুমতি দিয়েছে। তবে এ রাজ্যের মামলা থেকে জামিন গ্রাহ্য হলেও অন্যান্য রাজ্যের মামলা থেকে এখনই মুক্তি মিলছে না তাঁর। অসম, ওড়িশায় সারদাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু মামলা এখনও চলছে যাতে অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী। এবার দেবযানীর ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এক দিকে জামিন হলেও অন্য দিকে তিনি আটকে যাচ্ছেন। তাহলে কী জামিন হয়েও জেলে থাকতে হবে তাঁকে?

আপাতত সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলস এবং আরও বেশ কিছু মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। দেবযানী মুখোপাধ্যায় এক সময় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের ছায়া সঙ্গী ছিলেন। ২০১৩ সালে যখন সারদা নিয়ে তোলপা বাংলার প্রশাসন থেকে রাজ্য রাজনীতি তখনই কাশ্মীর পালিয়ে গিয়েছিলেন দেবযানী। অবশ্যই সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে। সেখান থেকেই ২২ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

২০১৪-তে ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের মামলায় অভিযুক্ত হন দেবযানী। এর পর থেকে জামিনের আবেদন করতে থাকেন তিনি। অব্যহতি চান রাজ্যের সব মামলা থেকে। সেই মামলার রায়েই এদিন জামিন মঞ্জুর করা হয় তাঁর। এই মামলাসহ চিটফান্ডের সমস্ত মামলা চলছিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

শনিবার বিশেষ বেঞ্চ বসে কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই সময় চাইলেও এ যাত্রায় আর সেই সময় দেওয়া হয়নি। এবং জামিন মঞ্জুর করা হয় দেবযানীর। ২ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে জামিন হলেও জেলেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। খন তাঁকে গ্রেফতার করা হয় তখন তিনি ছিলেন সারদার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের পদে। যে কারণে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে সব কর্মকাণ্ডে নাম জরিয়ে যায় তাঁরও।

তবে জামিন হয়েও জেলে থাকাতে হচ্ছে তাঁকে। কারণ এই রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ১০০টির উপর মামলা রয়েছে, যেগুলোর চার্জশিট এখনও জমা পড়েনি। এ ছাড়া গুয়াহাটি ও ভুবনেশ্বরেও চলছে মামলা। সব না মিটলে জেলের বাইরে বেরনো তাঁর পক্ষে এখনই সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এতটা মামলা শেষ পর্যন্ত কবে মিটবে সেটাও লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ ৭ বছর পর প্রথম জামিন পেলেন দেবযানী।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)