রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে অশালীন-বিতর্ক, পদত্যাগ করলেন উপাচার্য

রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে অশালীন-বিতর্করবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে অশালীন-বিতর্ক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে অশালীন-বিতর্ক, পদত্যাগ করলেন উপাচার্য। যদিও শুক্রবার রাতে পাঠানো তাঁর পদত্যাগপত্র আদৌ গৃহীত হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে যে অশালীনতা বিতর্ক শুরু হয়, এ দিনও তার পরিসমাপ্তি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে নিন্দা এবং সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ আবার অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের পাশেও দাঁড়িয়েছে‌ন। তবে সেই সংখ্যাটা বেশ কম।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসব পালিত হয়। পরে বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ঘুরে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, শাড়ি পরে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক তরুণীর পিঠের খোলা অংশে আবির দিয়ে অশ্লীল শব্দ লেখা রয়েছে। কারও কারও পিঠে আবার রবীন্দ্রনাথের গানের অংশের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে অশ্লীল শব্দ। শুধু তরুণী নয়, কয়েক জন তরুণকেও বুকে আবির রঙে অশ্লীল শব্দ লেখা অবস্থায় ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে।


এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে অশালীন-বিতর্ক

উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী

বিষয়টি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে শুরু হয় ওই তরুণ-তরুণীদের সমালোচনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী ভাবে এক দল ছাত্রছাত্রী এমন ভাবে ছবি তুলতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। এর পর রাতে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী জানান, এই ঘটনা তাঁর ক্যাম্পাসেই ঘটেছে। তবে সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান, দোল উৎসব উপলক্ষে ক্যাম্পাসে প্রচুর বহিরাগত এসেছিলেন। তাই কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব।

এর পর এ দিন সকালে রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়ারা উপাচার্যের কাছে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের দাবি জানান। তাঁরা একটি অভিযোগপত্র উপাচার্যের হাতে তুলে দেন। পরে সেটাই অভিযোগপত্র হিসেবে সিঁথি থানার পুলিশকে দেওয়া হয়। তার আগেই যদিও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে হাজির হয় কয়েক জন তরুণা-তরুণী। তাঁদের বুকে-পিঠে অশ্লীল শব্দ লেখা  ছবিই তত ক্ষণে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাঁরা এসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চান। জানা যায়, তাঁরা কেউই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন। বাড়ি হুগলির চন্দননগর ও শ্রীরামপুরের বিভিন্ন জায়গায়।

রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে অশালীন-বিতর্ক

বিতর্কিত সেই ছবি

ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ার পর ওই তরুণ-তরুণীদের নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরে রাখা হয়। পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া ঢুকতে পারে না বলে ঢোকেনি। এ দিন সন্ধ্যায় ওই তরুণ-তরুণীরা যে যার বাড়িতে ফিরে যান।

এর পরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা দফতরের সচিবের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন উপাচার্য। তবে, তাঁৱ ইস্তফা গৃহীত হয়েছে কি না, তা এ দিন রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ঘটনার নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই। ওদের আচরণ ছাত্রসুলভ নয়। আইন অনুযায়ী নিশ্চয়ই ব্যবস্থানেওয়া হবে। পুলিশ সাইবার আইনে বিষয়টি দেখবে।’’


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)