ঋতুপর্ণ ঘোষ স্মারক বক্তৃতায় রবীশ কুমার বললেন, ‘‘বাংলায় বিবেকের আকাল’’

ঋতুপর্ণ ঘোষ স্মারক বক্তৃতায় রবীশ কুমারঋতুপর্ণ ঘোষ স্মারক বক্তৃতায় রবীশ কুমার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ঋতুপর্ণ ঘোষ স্মারক বক্তৃতায় রবীশ কুমার কলকাতায় এলেন। শনিবার সন্ধ্যায় বসুশ্রী সিনেমা হলে প্রত্যয় জেন্ডার ট্রাস্ট আয়োজিত ওই সভায় ভাষণ দিলেন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক রবীশ কুমার।

সেখানে তিনি মূল আলোচনার সুরটাকেই বেঁধে ফেলেন জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)কে কেন্দ্র করে। এনআরসি-র বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনের ডাক দিলেন তিনি। রবীশ তাঁর বক্তব্যে এ দিন বলেন, ‘‘আপনাদের হাত থেকে বাংলা বেরিয়ে যাচ্ছে। খেয়াল করুন, এখনই আপনারা যেন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি। তার দেওয়ালে যে ভাষা লেখা রয়েছে, তা-ই আপনারা বলছেন।’’ এর সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘তেতাল্লিশ সালে একটা আকাল হয়েছিল বাংলায়, আর আজ দেখা যাচ্ছে আর একটা আকাল। বিবেকের আকাল।’’

আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

ঋতুপর্ণ ঘোষ স্মারক বক্তৃতায় রবীশ কুমার

ঋতুপর্ণ ঘোষ স্মারক বক্তৃতায় রবীশ কুমার

এ দিনের বক্তব্যে রবীশ তুলে আনেন মহাত্মা গান্ধীকে। বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকাতে গান্ধী পরিচিতি কার্ড তৈরি করার ব্রিটিশ প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছিলেন। আপনারা এমন ভাবে চুপ করে রয়েছেন, যেন আপনারা ইতিহাস পড়েননি।’’ রবীশের সংযোজন, ‘‘কেবল রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে কি রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন আপনারা? কালচারাল প্রোগ্রামে সংস্কৃতি বেঁচে থাকে না। যদি বাংলায় মুসলমান বিপন্ন হয়, যদি সমাজের বৈচিত্র শেষ হয়, তা হলে রবীন্দ্রনাথের আত্মাও বিদায় নেবে। মুসলমান ছাড়া বাংলা হতে পারে না।’’

রবীশের সেই বক্তৃতা…

রবীশ দেশ জুড়ে উচ্চশিক্ষার অবনমন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘যাদবপুর-প্রেসিডেন্সিতে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আপনারা কথা বলেন, কিন্তু বাঁকুড়া, মজফফরপুর কি মোতিহারির কলেজে কী হচ্ছে, কেমন পড়াশোনা হচ্ছে, তা দেখেন না। সেখানে যে ভাবে বই না পড়িয়ে গাইডের কয়েকটা পয়েন্ট প্রশ্নহীন ভাবে গলাঃধকরণ করানো হয় ছাত্রদের, তারই ফল হল রাজনৈতিক দলের ভ্রান্ত প্রচার, মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা আর হোয়াটস্যাপ ইউনিভার্সিটির সমস্ত কথা কোঁৎ করে গিলে নেওয়ার অভ্যাস।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)