চাঁচলে রাহুল গান্ধী, তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রে মোদী-মমতা

চাঁচলে রাহুল গান্ধীরাহুল গান্ধী

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো:  চাঁচলে রাহুল গান্ধী একই সঙ্গে আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শনিবার দুপুরে তিনি চাঁচলের জনসভা থেকে মমতার রাজনীতি এবং তাঁর সরকার চালানোর ধরন নিয়ে সমালোচনা করলেন।

রাহুলের অভিযোগ, ‘‘এক দিকে নরেন্দ্র মোদী মিথ্যা কথা বলেন। আর অন্য দিকে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু এখানে কিছুই হওয়ার নয়। মমতাজি আপনাদের জন্য কী করেছেন?’’ তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, বাংলার সরকার কৃষকের কথা শোনে না, সাধারণ মানুষের কথাও শোনে না। তাঁর কথায়, ‘‘এক জনের কথায় কি সরকার চলবে? আর কারও কথা শোনা হবে না?’’

যে উত্তর মালদহে দাঁড়িয়ে এ দিন রাহুল মন্তব্যগুলো করলেন, সেই কেন্দ্রের দু’বারের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর কিছু দিন আগেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ওই আসন থেকে এ বার তিনিই তৃণমূলের প্রার্থী। লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় রাহুলের প্রথম জনসভা বেছে বেছে চাঁচলে রাখা হয়েছিল সেই কারণেই। চাঁচল উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে।

বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে ফের ধন্দ, ৪ আসন বাদে বাকি সবেতেই প্রার্থী ঘোষণা বামেদের

স্বাভাবিক ভাবে এই অবস্থায় রাহুলের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রত্যাশা ছিল দু’টি। প্রথমত তিনি মৌসম সম্পর্কে কিছু বলবেন। পাশাপাশি তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও যেন আক্রমণাত্মক হন। কংগ্রেস নেতৃত্বকে এ দিন হতাশ করেননি রাহুল। নাম না করে মৌসমকে কার্যত বিশ্বাসঘাতক, ধোঁকাবাজ বলে মন্তব্য করেন। তার পর নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

তৃণমূলনেত্রী প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “মমতাজি খালি লম্বা চওড়া ভাষণ দিয়ে বেড়ান, এই করে দিয়েছি, আর ওই করে দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। বাংলায় বেরোজগারি আকাশ ছুঁয়েছে। ডান দিকে, বাঁ দিকে বেকারত্ব। কৃষক ঋণ পায় না। বিপদে পড়লে তাঁদের ঋণ মাফও হয় না।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “আগে বাংলায় বামেদের সরকার ছিল। তার পর মমতাজিকে জেতান মানুষ। যে অত্যাচার তখন হতো, মমতাজির জমানাতেও সেই একই অত্যাচার। কংগ্রেস কর্মীদের মারা হয়। রোজ মারা হয়। তখন একটা সংগঠনের জন্য সরকার চালানো হত, এখন এক ব্যক্তির জন্য সরকার চালানো হয়।”

কংগ্রেস সভাপতি এ দিন বলেন, ‘‘মার খেলেও লড়াই থামানো চলবে না। বাংলায় কংগ্রেসের ঝান্ডা উঁচু করে ধরে রাখতে হবে।’’ তিনি আশা প্রকাশ করে জানান, আগামী নির্বাচনের পরেই কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেস। তার পর বাংলায় সরকার দখল করে ছাড়বে তারা।

(বাংলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)