জাগুয়ার-কাণ্ডে নয়া মোড়, গাড়ি আরসালান নয় চালাচ্ছিলেন তাঁর দাদা রাঘিব, দাবি পুলিশের

জাগুয়ার-কাণ্ডে নয়া মোড়জাগুয়ার-কাণ্ডে নয়া মোড়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জাগুয়ার-কাণ্ডে নয়া মোড় । গত শুক্রবার মধ্যরাতে শেক্সপিয়র সরণিতে একটি জাগুয়ারের ধাক্কায় দুই বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় শনিবার দুপুরে আত্মসমর্পণ করা হয় আরসালান পারভেজ নামে এক তরুণকে। কলকাতার বিখ্যাত বিরিয়ানি চেন আরসালান-এর মালিকের ছেলে পারভেজকে আদালতেও হাজির করে পুলিশ। তিনি আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু বুধবার বিকেলে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানালেন, আরসালান পারভেজ নয় ওই রাতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর দাদা রাঘিব পারভেজ। ঘটনার পর তিনি দুবাই পালিয়ে গিয়েছিলেন। এ দিন দুপুরে তাঁকে দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। তার পর গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।

মুরলীধরের দাবি, গোয়েন্দাদের প্রথম সন্দেহ হয় আরসালান পারভেজের মেডিক্যাল টেস্টের পর। ওই দুর্ঘটনায় জাগুয়ারের এয়ারব্যাগ খুলে যায়। কিন্তু সেই এয়ারব্যাগ খুলে যাওয়ার ফলে চালকের শরীরে যে আঘাত থাকার কথা, আরসালান পারভেজের শরীরে তার কোনও চিহ্ন ছিল না।

বাংলার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে

এর পর দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে পরীক্ষা করে তার ইডিআর উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে ওই অত্যাধুনিক ওই গাড়িটি চালু করা হত। সেই নম্বর জানার পর গোয়েন্দারা জানতে পারেন সেটি রাঘিব পারভেজের। এর পর ওই নম্বরের হোয়াটস্অ্যাপ ডিপি দেখে সেই ছবি সংগ্রহ করা হয়।

অন্য দিকে ওই দিনের পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের এবং আরসালান বিরিয়ানি চেনের মালিক আখতার পারভেজের বাড়ির সি সি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে দু’টি জিনিস গোয়েন্দারা থুঁজে পান। প্রথমত, ওই দুর্ঘটনা ঘটে রাত ১টা নাগাদ। তার পরেই এক যুবককে শেক্সপিয়র সরণি ধরে কখনও হেঁটে কখনও দৌড়ে কলামন্দিরের দিকে যেতে দেখা যায়। কিন্তু যুবকের মুখ তেমন ভাবে স্পষ্ট ছিল না। একই সঙ্গে আখতার পারভেজের বাড়ির সি সি ক্যামেরা ফুটেজে শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ এক যুবককে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

গোয়েন্দারা ওই দুই ফুটেজের যুবকের সঙ্গে রাঘিবের হোয়াটস্অ্যাপ ডিপি মিলিয়ে দেখেন, তিনটে ছবিই একই ব্যক্তির। এর পর গোয়েন্দারা নড়েচড়ে বসেন। জানা যায়, ওই দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন রাঘিব। দুর্ঘটনার পর তিনি দৌড়ে পালান ঘটনাস্থল থেকে। এর পর শনিবার বিকেলের বিমানে তিনি দুবাই চলে যান। আর গোটা ঘটনায় তাঁকে সাহায্য করে রাঘিবের মামা মহম্মদ হামিজ।

এর পর দুবাই থেকে রাঘিবকে ফিরিয়ে আনার জন্য পারভেজ পরিবারকে চাপ দেয় কলকাতা পুলিশ। বুধবার বিকেলে রাঘিব ফিরতেই তাঁকে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
কিন্তু ওই দিন রাঘিব যদি গাড়ি চালিয়ে তাকেন, তা হলে পারভেজ পরিবার কেন আরসালানকে পুলিশের কাছে ঠেলে দিল? শুধু তাই সেই তরুণও কেন পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ কবুল করে নিয়েছিলেন, যা তিনি আদৌ করেননি! এ সব প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন গোয়েন্দারা।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)