শান্তিপুরে বিষ মদে মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

শান্তিপুরে বিষ মদে মৃত্যু

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শান্তিপুরে বিষ মদে মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত সাত জনের। তাঁদের মধে একজন মহিলাও রয়েছেন।  ১৯ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসাপাতালে ভর্তি। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপড়তা দেখান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার পিছু দু’লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সঙ্গেই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়ে। নির্বাসিত করা হয়েছে জেলার পুলিশের একাধিক লোককে।

শোনা গিয়েছে এই চোলাই মদ চোরাই পথে কালনা থেকে আসল শান্তিপুরে। এবং নদিয়া পুলিশ প্রশাসনের অধস্তন কর্মীদের অনেকের এর পিছনে হাত ছিল বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর মৃত ও অসুস্থদের সকলেই একটি ইট ভাঁটায় কাজ করতেন। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে একই ভাবে বিষমদে খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ২০০ মানুষের। সেটা ২০১১ সাল। সেই ক্ষত এখনও ভরেনি। সাত বছর  পর সদ্য সেই কাণ্ডের অভিযুক্ত যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে।

বৈশাখীর অসম্মান মেনে নিতে পারেননি

এই মুহূর্তে শান্তিপুরের চৌধুরীপাড়া মৃত্যু আতঙ্কে ভুগছে। মদ বিক্রেতার খোঁজও পাওয়া গিয়েছে। এতটাই স্থানীয় প্রশাসনের সমর্থন ছিল যে সেই ব্যাক্তি তার বাড়িতে বসেই চোলাই মদের কারবার চালাত। আর সেখানেই প্রতি সন্ধ্যায় বসত গ্রামের হত দরিদ্র মানুষগুলোর মদের আসর।

রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাসিত করেছেন তিনজন আবগারি অফিসারসহ আটজন কনস্টেবলকে। রানাঘাট সার্কেলের ডেপুটি আবগারি অফিসার ও আবগারি ওসিকে।

১) গঙ্গা পেড়িয়ে কালনা থেকে শান্তিপুরে ঢুকত এই চোলাই মদ

২) ২০১১তে বিক্রমপুরে চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের

৩) শান্তিপুরে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা এক মহিলাহ সাত

৪) সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

৫) মৃতদের পরিবার পিছু দু’লাখ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে

৬) নির্বাসিত করা হয়েছে জেলার উচ্চপদস্থ আবগারি অফিসারসহ মোট ১১ জনকে

বুধবার অর্থমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘কী ভাবে এই বিষমদ ঢুকল রাজ্যে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।’’ প্রশাসনের নাকের তলায় কী ভাবে এই ব্যবসা চলত তাঁর ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে সরকার।

মৃতদের তালিকায় রয়েছেন দোলাচাঁদ মাহাতো, সুনীল মাহাতো, ভুটান মাহাতো, কাশীনাথ মাহাতো। এই চারজনের মঙ্গলবার রাতেই মৃত্যু হয়েছিল। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় আরও তিন জনের। গুরুতর অসুস্থদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে কালনা শক্তিগড় হাসপাতালে।