ট্রেনে খাবার খেয়ে অসুস্থ পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসের বহু যাত্রী

ট্রেনে খাবার খেয়ে অসুস্থট্রেনে খাবার খেয়ে অসুস্থ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ট্রেনে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন যাত্রীরা। ১৪ জন এই মুহূর্তে খড়্গপুর রেল হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসের এই ঘটনায় নিশানায় রেলের খাবার। অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল।

বুধবার সকাল পৌনে ৬টায় পুরী থেকে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস। সব মিলিয়ে ৪৭৫ জন যাত্রী ওই ট্রেনে ছিলেন। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এ দন সকাল ৮টা নাগাদ সকালের প্রাতঃরাশ দেওয়া শুরু হয়। সেই তালিকায় ডিমের ওমলেট এবং পাউরুটি ছিল। যাত্রীদের দাবি, ওই ব্রেড-ওমলেট খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ২০ জন। প্রথমে তাঁদের বমি শুরু হয়। সঙ্গে পেট এবং মাথা ব্যথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ যাত্রীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

এর পরেই ট্রেনের কোচ অ্যাটেনডেন্ট এবং টিকিট পরীক্ষকদের জানানো হয় বিষয়টি। তাঁরা বিষয়টি খড়্গপুরে রেলের আধাকারিকদের জানান। ট্রেনটি খড়্গপুরে পৌঁছনোর পরই অসুস্থ যাত্রীদের রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের অবস্থা ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ওই ট্রেনটি বিকেল ২টো ৫৫ মিনিটে হাওড়া এসে পৌঁছয়। সেই ট্রেনে যাঁরা শহরে এসে পৌঁছন, তাঁদের বেশির ভাগেরই রেলের খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ। সকলেই উদ্বেগে সফর করেছেন ওই ট্রেনে।

ইঞ্জিন ছাড়াই ছুটল যাত্রী বোঝাই ট্রেন

কিন্তু, রেলের খাবার খেয়েই কী অসুস্থ হয়ে পড়লেন যাত্রীরা?

রেলের তরফে ট্রেনের ভিতরে যে খাবার পরিবেশন করা হয়, তার দায়িত্বে থাকে আইআরসিটিসি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পুরীতে ওই খাবার তৈরি করা হয়েছিল। মোট ৪৯৫টি প্যাকেট তৈরি করা হয়। সব যাত্রীকেই সেই খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৪ জন ওই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। পুরীতে যেখানে খাবার তৈরি করে প্যাকেট করা হয়েছিল, সেখান থেকেও নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

ট্রেনে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও রেলের বিরুদ্ধে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কয়েক মাস আগেই হাওড়া থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে রেলের বিরিয়ানির ভিতরে আরশোলা পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। রেলের সেই তদন্ত আজও শেষ হয়নি। জানা যায়নি কী ভাবে খাবারে আরশোলা এসেছিল! নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার পরিবেশনের অভিযোগও উঠেছে একাধিক বার। রেল ঢেলে সাজিয়েছিল তাদের খাবার পরিষেবা। কিন্তু, তাতে যে কোনও কাজ হয়নি, আজকের ঘটনা ফের তা প্রমাণ করে দিল।