পশ্চিমবঙ্গে আল কায়দা জঙ্গি, মুর্শিদাবাদের ৯ জন গ্রেফতার এনআইএ-র হাতে

পশ্চিমবঙ্গে আল কায়দা জঙ্গি

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গে আল কায়দা জঙ্গি হিসেবে ৬ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। একই সঙ্গে কেরল থেকেও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। ধৃত ৯ জনই এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় আল কায়দার হয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ওই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এনআইএ জানিয়েছে।

ওই ৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে। ধৃতদের বাড়ি ডোমকল, রানিনগর, জলঙ্গিতে। তাঁদের নাম নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউইয়ন আহমেদ, আল মামুন কামাল ও আতিউর রহমান। শনিবার বিকেলে কলকাতায় বিশেষ এনআইএ আদালতে তাঁদের হাজির করানো হয়। বিচারক ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ৬ জনের ট্রানজিট রিমান্ড দিয়েছেন। মামলাটি দিল্লিতে হওয়ায় হওয়ায় ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অভিযুক্তদের পটিয়ালা হাউস কোর্টে পেশ করতে হবে বলে জানা গিয়েছে এনআইএ সূত্রে।


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্য দিকে যে তিন জনকে কেরলের এর্নাকুলাম থেকে পাকড়াও করা হয়েছে, তারাও ডোমকল ও জলঙ্গি এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের নাম মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোশারফ হোসেন। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে তাঁরা দক্ষিণ ভারত গিয়েছিলেন। মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া ৬ জনের মধ্যে ২ জন কলেজপড়ুয়া। তার মধ্যে এক জন আবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। বাকিরা ছোটখাটো কাজ করেন। ধৃতদের কাছ থেকে আইইডি, বিস্ফোরক, পিস্তল-সহ নানা জিনিসপত্র মিলেছে বলে এনআইএর দাবি।

শুক্রবার দিল্লি থেকে এনআইএ-র ১২ জনের একটি দল কলকাতায় পৌঁছয়। ওই দিন সন্ধ্যায় এনআইএ-র কলকাতা শাখার একটি দলকে নিয়ে মুর্শিদাবাদে রওনা দেয় তারা। এর পর গোয়েন্দারা একাধিক দলে ভাগ হয়ে গভীর রাতে অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দেন। কেরলেও কয়েকটি দল হানা চা‌লায় বিভিন্ন জায়গায়। সব মিলিয়ে ৯ জনকে পাকড়াও করা হয়। এনআইএ সূত্রের দাবি, এটি একটি আন্তঃরাজ্য চক্র বা মডিউল।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ধৃতদের সঙ্গে পাকিস্তানে থাকা আল কায়দা চাঁইদের যোগাযোগ ছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি। প্রাথমিক ভাবে এনআইএ-র গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আল কায়দা জঙ্গি হিসেবে ধৃতদের মধ্যে চার জনের দিল্লি হয়ে শ্রীনগরে যাওয়ার কথা ছিল সম্প্রতি। কাশ্মীরে গিয়ে ডার্ক ওয়েবের সাহায্যে সীমান্তের ও পার থেকে আসা নির্দেশ মোতাবেক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করার কথা ছিল তাঁদের।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)