নরেন্দ্র মোদী মেদিনীপুরে, প্যান্ডেল ভেঙে আহত বহু

নরেন্দ্র মোদীহাসপাতালে আহতদের দেখতে নরেন্দ্র মোদী। ছবি বিজেপি-র সৌজন্যে।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদী তখন ভাষণ দিচ্ছেন মঞ্চে। ঠিক সেই সময়েই দুর্ঘটনা। মঞ্চের সামনের প্যান্ডেল হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। তার তলায় চাপা পড়ে গুরুতর আহত হলেন প্রায় ৫০ জন! তাঁদের মধ্যে জনা পাঁচেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শহরের কলেজিয়েট মাঠে সোমবার বিজেপি এক কৃষক সভার আয়োজন করে সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে পৌঁছন। তিনি যখন ভাষণ শুরু করেন, তখন সভাস্থল ভিড়ে টইটুম্বুর। সেই ভিড়ে বোঝাই সভাতেই হঠাৎ করে ভেঙে পড়ল প্যান্ডেল। আহতদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ জনকে নানা রকমের চোট-সহ সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনকে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার কারণ হিসাবে বিজেপি অতিরিক্ত বৃষ্টিকেই দায়ী করেছে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে প্যান্ডেলের লোহার কাঠামো নরম মাটিতে বসে যায়। তার উপর কয়েক জন ওই কাঠামোয় চড়ে বসায় তা ভেঙে পড়ে। প্যান্ডেল চাপা পড়ে এবং তাড়াহুড়ো করে সেই প্যান্ডেলের বিতর থেকে বেরতে গিয়ে পদপিষ্ট হওয়ার কথাও জানিয়েছেন দিলীপবাবু।

ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ লাইফ দেখা হল না! অথচ ফুটবলই ওদের জান-প্রাণ

ঘটনার পর পরই টুইট করে আহতদের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, মেদিনীপুরের র‌্যালিতে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। রাজ্য সরকার আহতদের চিকিৎসায় সব রকমের সাহায্য করবে।

এ দিন মোদীর সভা উপলক্ষে কলেজিয়েট মাঠে মূল মঞ্চ করা হয়। তার সামনে দর্শকদের জন্য তিনটে আলাদা প্যান্ডেল করা হয়। মূলত লোহার কাঠামোর উপরেই ওই প্যান্ডেলগুলো করা হয়েছিল। সকাল থেকেই মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। কাজেই লোহার কাঠামোগুলো নরম মাটিতে বসে গিয়েছিল আগে থেকে। তার উপর মোদীর সভায় আসা অনেকেই ওই কাঠামোয় উঠে বসেন। তাতে আরও বসে য়ায় কাঠামো।

এর পর বেলা ১টা নাগাদ মোদী যখন মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন, তখন আচমকাই মঞ্চের বাঁ-দিকের প্যান্ডেলটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তার তলায় চাপা পড়েন অনেকেই। মোদী সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বক্তব্য থামিয়ে দেন। অন্যদের নেমে আসতে বলেন। সকলকে সাবধান হওয়ার নির্দেশ দেন। নিজের রক্ষীদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বলেন। তার পর ফের ভাষণ শুরু করেন।

আহতদের সঙ্গে সঙ্গেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগে শুরু হয় চিকিৎসা। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদী হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। তার পর কলাইকুন্ডা হয়ে দিল্লি ফিরে যান।