রাজ্যে এলেন নরেন্দ্র মোদী, বাজিয়ে দিয়ে গেলেন ভোটের দামামা

রাজ্যে এলেন নরেন্দ্র মোদী

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: রাজ্যে এলেন নরেন্দ্র মোদী , বাজিয়ে দিয়ে গেলেন ভোটের দামামা। দু’জায়গায় জনসভা করেছেন তিনি। প্রথমটি সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের ডাকে। অন্যটির আয়োজক তাঁর দল বিজেপি। দু’টি সভা থেকেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এবং সেই দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন মোদী।

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সভাটা ছিল উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে। সেখানে প্রায় ১৮ মিনিট ভাষণ দেন তিনি। কিন্তু, জনসভায় বিশৃঙ্খল ভিড়ের কারণে শেষের দিকে তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায় তাঁকে। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে মোদীর মেদিনীপুরের সভায় ছাউনি ভেঙে প্রচুর মানুষ আহত হয়েছিলেন।

মেদিনীপুরে সে দিনের ঘটনার সময় মোদী মিনিটখানেক তাঁর ভাষণ থামিয়েছিলেন। তার পর ফের ভাষণ শুরু করেন। তা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এ দিন সেই ঝুঁকি নেননি প্রধানমন্ত্রী। ভিড় বেসামাল হচ্ছে দেখেই দু’বার তিনি সতর্ক করেন। ‘আপনারা এমনটা করবেন না’ বলেও জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু, কোনও কথাতেই কাজ না হওয়ায় শেষে মঞ্চ থেকে তাড়াহুড়ে করে নেমে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।

তাঁর দ্বিতীয় সভাটি ছিল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। সেখানেও ঠাকুরনগরের মতো সভাস্থল ছিল ভিড়ে টাসা। তবে সেখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুর্গাপুরের সবা থেকে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় জুড়ে ভাষণ দেন তিনি। গোটা ভাষণে তাঁর লক্ষ্য ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক বাণে মোদী আক্রমণ করতে থাকেন তৃণমূল এবং তাঁর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বিজেপি বিরোধী ব্রিগেডে স্বস্তিতে মমতা, বললেন, ‘মোদীবাবুর এক্সপায়ারি ডেট এসে গিয়েছে’

বাংলা থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচারের কাজটা যে শুরু করে দিল বিজেপি, এটা এ দিনের দু’টি সভা থেকেই মোদীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কখনও মমতাকে সিন্ডিকেট রাজ চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন তিনি। কখনও বা ‘ট্রিপল টি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। মোদীর ব্যাখ্যায় ‘ট্রিপল টি’ হচ্ছে ‘তৃণমূল তোলা ট্যাক্স’। ঠাকুরনগরের সভার ভিড় দেখে মোদী কটাক্ষ ছুড়ে দেন মমতা উদ্দেশে, ‘‘এ বার বুঝতে পারছি, দিদি কেন হিংসার রাস্তা নিয়েছেন!’’

মোদীর ভাষণে এ দিন অনেকটা জুড়েই ছিল ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ করা বাজেটের প্রশংসা। মোদী সরকার কী ভাবে কৃষক, শ্রমিক এবং মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ভাবিত, এ বারের বাজেটেও তার প্রভাব রয়েছে বলে এ দিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। বারে বারে তাঁর কথায় উঠে এসেছে বাজেটের বিভিন্ন টুকরো। আর সেই টুকরো হাতিয়ারেই আক্রমণ শানিয়েছেন মমতার দিকে।

সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগের জবাবও এ দিন দিতে শোনা গিয়েছে মোদীর মুখে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকেও যে সিবিআই ৯ ঘণ্টা জেরা করেছিল, এ দিন সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘‘কোনও অপরাধ না করে থাকলে এত ভয়ের কী আছে?’’

(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)