নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা হলে প্রাণ সংশয় হবে, রিটার্নিং অফিসারের বার্তা

নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা হলে প্রাণ সংশয়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা হলে প্রাণ সংশয় হতে পারে রিটার্নিং অফিসারের—এমনটাই এক বার্তায় জানিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। রবিবার নন্দীগ্রাম নিয়ে সারাদিনই ছিল টানটান উত্তেজনা। তা আরও বাড়ে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গিয়েছে এই খবর প্রচারিত হওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘোষণা হয় মমতা নয় জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পরই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাময়িক সেখানকার ফল ঘোষণা বন্ধ থাকার পর জানিয়ে দেওয়া হয় পুনর্গণনা হবে না জিতেছেন শুভেন্দুই।

সোমবার কালীঘাটের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, আসলে প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে সেকারণে পুনর্গণনার নির্দেশ দিতে ভয় পাচ্ছেন রিটার্নিং অফিসার। সেই রিটার্নিং অফিসারের এই কথপোকথন এসে পৌঁছেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। সেই বার্তায় আরও লেখা রয়েছে, বন্দুকের সামেন দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে। মেশিন পাল্টে দেওয়ার কথাও বলা হয় সেই বার্তায়। আদালতে যাওয়ার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন এদিনে আরও একবার জানালেন সে কথা।

এদিন বামদের বাংলা থেকে ধুয়ে-মুছে যাওয়া প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্যে অনেকেই অবাক। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমি রাজনৈতিকভাবে ওদের বিরুদ্ধে কিন্তু ওরা একদম শূন্য হয়ে যাক সেটা চাইনি। যদি বিজেপির বদলে ওরা আসন পেত তাহলে হয়তো অনেক ভাল হত।’’ বামদের পাশাপাশি মমতা উদার তার দলত্যাগী নেতাদের বিষয়েও। জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা ফিরতে চাইবেন তাঁরা দলে স্বাগত। যাঁদের প্রায় সকলেই মুখ থুবড়ে পড়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়াসহ একগুচ্ছ মুখ। তাঁরা ফিরতে চাইলে কী করবেন? এক লাইনে মমতার জবাব, ‘‘আসুক না, কে বারণ করেছে? এলে স্বাগত।’’

সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একটি কাজ করলেন যা এখনও কোন‌ও রাজ্য ভেবে উঠতে পারেনি। গোটা দেশে করোনায় আখ্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রচুর সাংবাদিকের। সম্প্রতি  আজতকের সাংবাদিকের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সংবাদ মাধ্যম। এবার সেই সাংবাদিকদেরই কোভিডযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিক বন্ধুদের আমি কোভিড যোদ্ধা  ঘোষণা করছি। অনেক সাংবাদিক মারা গিয়েছেন, তাঁদের এখনও কোভিড যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। সাংবাদিকদের জীবনমৃত্যুর প্রশ্ন রয়েছে।’’

এর মধ্যেই এদিন তৃণমূল ভবনে বিজয়ী নেতাদের সঙ্গে মিটিং সারেন তিনি। সেখানে থেকে রাজভবনে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বেশ কয়েকজন। সেখানে নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে সরকার গঠনের দাবি জানান। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপাতত দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেছেন তিনি মমতাকে যতক্ষণ না নতুন সরকার নিচ্ছে।

এদিনই নির্বাচন কমিশন রাজ্যের যে আচরণবিধি তাঁদের দখলে ছিল তা প্রত্যাহার করেছে। যার ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা  দায়িত্ব আবার ফিরল রাজ্য সরকারের হাতে। বুধবারই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে কোনও রকম বাড়াবাড়ি করা হবে না এই কোভিড পরিস্থিতিতে। সকাল ১০.৪৫-এ শপথ নেবেন বলে টুইটে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)