জেপি নাড্ডা ডায়মন্ড হারবার যাচ্ছিলেন, কনভয়ে হামলা ও ভাঙচুর

জেপি নাড্ডা ডায়মন্ড হারবার

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: জেপি নাড্ডা ডায়মন্ড হারবার যাচ্ছিলেন দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে। পথে আক্রান্ত হল তাঁর কনভয়। হামলা এবং ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হল বিজেপি-র একাধিক কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতার গাড়ি। আহত হলেন বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে শিরাকোলে।

ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার পথে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের শিরাকল মোড়ে এ দিন দুপুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, সঞ্জয় ময়ূখ, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, সম্বিত পাত্র, অনুপম হাজরাদের গাড়ি। দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাসের হাতে চোট লেগেছে। বিজেপির দাবি, তাদের ৮ জন কর্মী ভাল রকম চোট পেয়েছেন।


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই ঘটনার পর বিজেপি সরব হয়েছে, ‘বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে’ বলে। বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও এ দিন সন্ধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, রাজ্যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। জেপি নাড্ডা ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে ঠিক কী হয়েছিল, তিনি সেই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে। সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি বীরেন্দ্র রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বটে, কিন্তু ধনখড়ের অভিযোগ, তাঁরা ওই বিষয়ে কোনও রকম ‘আপডেট’ তাঁকে দেননি।

ডায়মন্ড হারবার যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র। সেখানে নড্ডার কনভয়ে হামলাকে ‘বর্বরোচিত’ বলে অভিহিত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ দিন সন্ধ্যায় অমিতও টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই প্ররোচনামূলক হিংসার জন্য রাজ্যের শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে উত্তর দিতে হবে।’’ রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে অমিতের মন্ত্রক।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি গোটা ঘটনার দায় চাপালেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন মেয়ো রোডের সভা থেকে বলেন, ‘‘পরিকল্পনা করেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়নি তো? ছোট ঘটনা। কিছু ঘটে থাকলে পুলিশ তার তদন্ত করবে।’’

আর অভিষেক এ দিন আরামবাগের সবা থেকে বলেছেন, ‘‘সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটলে তার দায় আমার নয়।’’

তবে নাড্ডারা রাজ্য প্রশাসনের কোনও তদন্তে তাঁরা ভরসা রাখছেন না। রাজ্যের মানুষ জবাব দেবেন বলেই তাঁদের আশা।