নবনীতা দেবসেন প্রয়াত, ৮১ বছরের জীবন স্তব্ধ হয়ে গেল ‘ভালো-বাসা’তে

নবনীতা দেবসেন প্রয়াতনবনীতা দেবসেন প্রয়াত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নবনীতা দেবসেন প্রয়াত হলেন। দীর্ঘ দিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি মারা যান। দক্ষিণ কলকাতার যে বাড়িতে তিনি থাকতেন তার নাম ‘ভালো-বাসা’। এ দিন সেখানেই মৃত্যু হয় ৮১ বছরের নবনীতার।

১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি নবনীতার জন্ম। বাবা-মা দু’জনেই বিখ্যাত। সাহিত্যিক নরেন্দ্র দেব এবং রাধারাণী দেবী। প্রথমে প্রেসিডেন্সি কলেজ। সেখান থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর শেষ। তার পরের বছরই অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিয়ে। অমর্ত্য-নবনীতার দুই মেয়ে অন্তরা এবং নন্দনা। কিন্তু সেই বিয়েতে বিচ্ছেদ হয় ১৯৭৬-এ। এর পরেই তাঁর বিদেশযাত্রা।

আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

মার্কিন মুলুক এবং ব্রিটেনের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি গবেষণাও করেছেন নবনীতা। তার মধ্যে রয়েছে হার্ভার্ড, ক্যালিফোর্নিয়া কেমব্রিজের মতো বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ড, যাদবপুর-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েওছেন তিনি। ১৯৭৫- ২০০২ তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপিকা ও বেশ কয়েক বছর বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।

একইসঙ্গে নবনীতা তাঁর লেখালেখির কাজ চালিয়ে গিয়েছে‌ন। গদ্য, কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমণ— সব ধরনের লেখাই তিনি লিখেছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তিনি কলামও লিখতেন। ১৯৫৯-এ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম প্রত্যয়’ প্রকাশিত হয়। তবে প্রথম উপন্যাস ‘আমি অনুপম’ তার বেশ কয়েক বছর পরে ১৯৭৬-এ। ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, ভ্রমণ কাহিনি, উপন্যাস মিলে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৮০। পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, সেটা ১৯৯৯ সাল‌। পরের বছরই তিনি হয়েছেন পদ্মশ্রী। অল্পবয়সী নারী লেখকদের নিয়ে তিনি ‘সই’ নামে একটি সংগঠনও করেছিলেন। সেটিও এক ব্যতিক্রমী সংগঠন।

দীর্ঘ দিন ধরেই নবনীতা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগতেন। কথা বলার সময় হাঁফাতেনও। সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন ইনহেলার। কিছু দিন আগে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসাও চলছিল। তারই মধ্যে চলে গেলেন ‘ভালো-বাসা’ ছেড়ে চলে গেলেন নবনীতা।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)