ভরদুপুরে খুন, চপার দিয়ে আলাদা করে দেওয়া হল ধড়-মুন্ডু

গড়িয়াহাটের জোড়া খুনপ্রতীকী চিত্র

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ভরদুপুরে খুন বন্দর এলাকায়। রাস্তায় ফেলে এক ব্যক্তির গলায়, বুকে চপারের কোপ মেরে খুন করল উন্মত্ত এক ব্যক্তি। তাকে থামাতে এলেন এক যুবক। তাঁর হাতেও কোপ মারে  ওই ব্যক্তি। এর পর রক্তাক্ত চপার নিয়েই এলাকায় ছুটোছুটি শুরু করে সে।

শনিবার তখন প্রায় দুটো বাজে। কলকাতা বন্দরের কাছে রাজাবাগান এলাকার শিমপুকুর লেনের ওই দৃশ্য দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান পথচারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তায় ফেলে যাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁর নাম মহম্মদ ইশামুল হক। বছর আটচল্লিশের ওই ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা।

উন্মত্ত খুনিকে ঠেকাতে যিনি এগিয়ে এসেছিলেন, আহত সেই যুবকের নাম মহম্মদ বশির। এই ঘটনায় মহম্মদ কালাম নামে ওই হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, ঘটনার পর তাকে স্থানীয়রা পাকড়াও করে গণপিটুনি দেয়। আপাতত সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মৃত আইনজীবীর স্ত্রী অনিন্দিতা শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন

স্থানীয় এক বাসিন্দা ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি এ দিন জানান, রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ তিনি দেখেন কালাম রক্তমাখা চপার হাতে লাফাচ্ছে। কয়েক জন তাকে আটকাতে গেলে ওদের দিকেও তেড়ে যায় কালাম। সেই সময় কালামের দাদা চলে আসেন। তাঁকে দেখেই কালাম চপার ফেলে দেয়। তখন তাকে কয়েক জন যুবক ধরে ফেলে মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছন ডিসি (বন্দর) ওয়াসিম রেজা। মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী

মুন্ডু কাটা ইশামুলকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইশামুল এলাকায় শান্ত, নির্বিরোধী মানুষ হিসাবেই পরিচিত। তাঁর কোনও শত্রু ছিল না বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

তবে কী কারণে এই খুন তা এখনও জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইশামুল  একটি কসাইখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী এবং ছয় ছেলেমেয়ে রয়েছে তাঁর। কালামের বাড়িও ওই এলাকায়।