মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে বাংলার স্পিকারকে সুপ্রিম কোর্ট বলল…

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ-এর বৈধতা নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে তাঁকে।

বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিধানসভা ভোটে জয়ী হন মুকুল। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তবে মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান করার সময় থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি নিয়ে আদালতে যায় বিজেপি। পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নিয়োগ অবৈধ, এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করে তারা। মামলাটি করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে মুকুলের দলত্যাগের বিষয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু বিধানসভার বিষয়ে স্পিকারের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করা যায় না, এই যুক্তি নিয়ে স্পিকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দরবার করা হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ জানার পরে বিমান জানিয়েছেন, তিনি আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন।

তবে সুপ্রিম কোর্টে এই নির্দেশে খুশি বিজেপি। এ দিন বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, ‘ন্যায়ের জয় হল। ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ মুকুল রায়ের দলত্যাগের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য মাননীয় স্পিকারকেও ছেড়ে দেয়নি। ২০১১ সালের পর প্রথমবার যখন পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ সংক্রান্ত আবেদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ মুকুল–সহ এখনও পর্যন্ত পাঁচ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপি স্পিকারের কাছে ওই বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছে। এ বার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ওই বিধায়কদের পদত্যাগ নিয়েও পদক্ষেপ করা যাবে বলেই মনে করছে বিজেপি পরিষদীয় দল।

মুকুলের দলত্যাগের পর স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেছিলেন শুভেন্দুও। তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলে, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে বিষয়টি নিয়ে স্পিকার সুপ্রিম কোর্টে যান। সেখানেই স্পিকারকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘২০১১ সাল থেকে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস থেকে ৫০ জনের বেশি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু একাধিকবার শুনানি হলেও, তাদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর আমরা সুবিচার পাব।’’


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)