সুড়ঙ্গের ভিতরেই আটকে গেল মেট্রো, অন্ধকারে আতঙ্কিত যাত্রীরা

সুড়ঙ্গের ভিতরেই আটকে গেল মেট্রোসুড়ঙ্গের ভিতরেই আটকে গেল মেট্রো

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুড়ঙ্গের ভিতরেই আটকে গেল মেট্রো, চলন্ত অবস্থায়। মেট্রো পরিষেবা ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফের স্বাভাবিক হয় মেট্রো চলাচল।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট নাগাদ দমদমমুখী একটি মেট্রো মহাত্মা গান্ধী রোড স্টেশন ছেড়ে বেরনোর পরই থেমে যায়। অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্যে মেট্রোর একটা অংশ ঢুকে পড়েছে তত ক্ষণে। বাকি অনেকগুলি কামরাই মেট্রো প্ল্যাটফর্মে। হঠাৎ করেই থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। হুড়োহুড়িও পড়ে যায়। গোটা রেকটাই অন্ধকার হয়ে যায়। অনেকেই ভাবেন পাওয়ার কাট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে জানা যায়, রেকটিই খারাপ ছিল। রাত প্রায় পৌনে একটা নাগাদ আপ লাইন থেকে সেই রেক সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর কবি সুভাষ এবং নোয়াপাড়ার মধ্যে মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ওই মেট্রোয় থাকা এক যাত্রী বলেন, মহাত্মা গান্ধী রোড স্টেশন ছেড়ে বেরোতেই মেট্রোটি আচমকা থেমে যায়। সেই সঙ্গে কামরার সব আলো নিভে গিয়েছে। প্রথমে কিছু বুঝতে না পেরে যাত্রীরা চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন। রেকটির তিনটি অন্ধকার কামরা অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে যায়। সেই কামরার যাত্রীরাই চিৎকার করা শুরু করেন। কিন্তু, মেট্রোর তরফে প্ল্যাটফর্মে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। যাত্রীরা আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যান। কিছু ক্ষণ পর মেট্রোর তরফে ঘোষণা করা হয়, সামনের কামরাগুলির যাত্রীদের পিছন দিকে চলে আসতে। তার পর দরজা খুলে যাত্রীদের সকলে বার করা হয়।

এসবিআই এটিএম থেকে প্রতি দিন টাকা তোলার ঊর্ধসীমা কমিয়ে অর্ধেক করা হচ্ছে

আপ লাইনে মেট্রোটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় নোয়াপাড়া-দমদমগামী সব মেট্রোই আটকে পড়ে বিভিন্ন স্টেশনে। অফিসফেরতা যাত্রীদের পাশাপাশি পুজোর বাজার করতে বেরনো সাধারণ যাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা হয়ে যায় বিভিন্ন স্টেশন। অনেকে টিকিট কেটে বা স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে স্টেশনে ঢুকে পড়ার পর আর বেরোতে পারেননি। প্ল্যাটফর্মেই আটকে পড়েন। প্রায় পৌনে ৮টা নাগাদ মহাত্মা গান্ধী স্টেশন থেকে খারাপ রেকটিকে নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াপাড়া কার শেডে। তার পর স্বাভাবিক হয় মেট্রো চলাচল। তার আগে, ময়দান থেকে কবি সুভাষ অবধি মেট্রো চালাচ্ছিলেন কর্তৃপক্ষ।

এ দিনের এই অবস্থার পর ফের মেট্রো পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিনেপ পর দিন কী ভাবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ পুরনো রেক দিয়েই পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।