মেডিক্যালে অনশন উঠল অবশেষে, ছাত্রদের দাবি মেনে নিল কর্তৃপক্ষ

মেডিক্যালে অনশন উঠলঅনশন ওঠার পর ছাত্রদের উচ্ছ্বাস। ছবি ফেসবুকের সৌজন্যে।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মেডিক্যালে অনশন উঠল অবশেষে। শেষ হল পড়ুয়াদের আন্দোলনও। একইসঙ্গে দায়িত্বে ফিরলেন অসুস্থতার কারণে ছুটিতে যাওয়া অধ্যক্ষ উচ্ছল ভদ্র।

কলকাতার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ গত ১৪ দিন ধরে হস্টেলের সুষ্ঠু বিলিবন্টনের দাবিতে অনশন আন্দোলন করছিলেন। সোমবার দুপুরে পড়ুয়াদের সেই দাবি মেনে নেওয়া হয় কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে। পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়, নতুন হস্টেলে সিনিয়র ছাত্রছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, নতুন একটি হস্টেল তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অশোক ভদ্র সিদ্ধান্ত বদলের এই ঘোষণা করতেই খুশিতে ফেটে পড়ে গোটা কলেজ চত্বর। অধ্যক্ষ নিজে হাতে ফলের রস খাইয়ে দেন অনশনরত পড়ুয়াদের। খুশির বাঁধ ভেঙে যায় তাঁদের মধ্যে। শুরু হয় আবির খেলা।

গত ১৪ দিন ধরে হস্টেলের দাবিতে অনশন আন্দোলনে বসেছিলেন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। তার মধ্যে তিন বার অধ্যক্ষ পদে বদল হয়। উচ্ছল ভদ্র শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটিতে চলে যান। তাঁর জায়গায় আসেন রামানুজ সিনহা। কিন্তু, গত সপ্তাহে তিনি পদত্যাগ করেন। শনিবার সেই জায়গায় দায়িত্ব নেন অশোক ভদ্র। তিনিই পড়ুয়াদের সমস্যা মেটানোর বিষয়ে সচেষ্ট হন। সোমবার সমস্যা মেটার পর সেই অশোকবাবুকে সরিয়ে ফের উচ্ছলবাবুকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়। একই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব অনিল বর্মাকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় সোমবার সন্ধ্যায় দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজীব সিনহাকে।

মেডিক্যাল কলেজের অনশনের দিনগুলো

সোমবার দুপুরে মেডিক্যাল কলেজে অশোকবাবু ঘোষণা করেন, কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নতুন ১১তলা হস্টেলের দু’টি তলা সিনিয়র পড়ুয়াদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। সে কথা স্বাস্থ্যভবনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি একটি লিখিত বিবৃতিও দেন। তবে, নতুন হস্টেলে থাকার বিষয়ে কাউন্সিলিং করা হবে বলে জানান অশোকবাবু।

দিনের শুরুতে বিধানসভায় এই বিষয়ে বিবৃতি দেন রাজ্যের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানান, এই বিষয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কলেজের কাউন্সিলের ব্যাপার। রবিবার স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য পড়িয়াদের এই অনশন আন্দোলনকে বিবৃতি দিয়ে ‘প্রতীকী’ বলে জানিয়েছিলেন। চন্দ্রিমাও বিধানসভায় সে কথা জানান। এর পরেই বিরোধীরা ওয়াকআউট করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান।

মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত বদলে খুশি পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, এটা তাঁদের আন্দোলনের জয়।