মেয়রের স্ত্রী গ্রেফতার, থানায় কে অভিযোগ করেছিলেন?

মেয়রের স্ত্রী গ্রেফতারশোভন চট্টোপাধ্যায়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মেয়রের স্ত্রী গ্রেফতার, মেয়রেরই করা অভিযোগে! অভূতপূর্ব এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে।

এ দিন সকালে রবীন্দ্র সরোবর থানায় কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়রের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে, থানা থেকেই তিনি জামিন পান।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। ওই দিন রাত ১টা নাগাদ মেয়রের সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ফোর্ট লেজেন্ড আবাসনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন রত্না। সঙ্গে ছিল তাঁর মেয়ে সুহানি চট্টোপাধ্যায় এবং অন্য কয়েক জন। রত্নার দাবি, সুহানির জার্মানিতে পড়তে যাওয়ার কথা। তাই বাবা হিসাবে জার্মানি যাওয়ার ভিসার কাগজপত্রে শোভনের কিছু সই লাগবে। কিন্তু, বেশ কিছু দিন ধরে আবেদন-অনুরোধ করা সত্ত্বেও শোভন তাতে কান দেননি। সই-ও করেননি। তাই ‘বাধ্য’ হয়েই নাকি রত্না ধর্নায় বসেছিলেন। রাতভর সেই ধর্নার পর সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শোভন, তড়িঘড়ি পুলিশ এসে ধর্না থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় রত্নাকে। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরিশেষে জামিন।

থানায় কেন অভিযোগ করলেন শোভন?

মেয়রের অভিযোগ, গভীর রাতে কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে এসে রত্না তাঁর বাড়ির সামনে বেআইনি জমায়েত করেন। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করার পাশাপাশি বাড়ি ঘেরাও এবং জোর করে সেখানে ঢোকার চেষ্টার করেন রত্না এবং তাঁর দলবল। এমনকি, শোভনকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শোভনের প্রশ্ন, ‘‘রাত ১টার সময় ওঁর এখানে কী কাজ থাকতে পারে? সই করানোরই বা কী থাকতে পারে?’’ তাঁর দাবি, সই করতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, অসত্য তথ্য সম্বলিত কাগজপত্রে সই করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন রত্না। মেয়রের কথায়, “আমি কি বাচ্চা ছেলে! যা বলবে তাতেই সই করে দেব!’’

গরমকালের রোগ এবং তার হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার

রত্না যদিও পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছেন, মেয়ে সুহানির পড়াশোনার জন্য জার্মানি যাওয়ার কথা। মেয়ের ভিসার জন্য শোভনের একটা সইয়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, গত ১৯ মে থেকে মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ সব রকম চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি তিনি। শোভন নাকি বিষয়টায় গুরুত্বই দিতে চাননি। কোনও উপায় না দেখে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাই তিনি গোলপার্কের আবাসনের সামনে মেয়ে সুহানিকে নিয়ে ধর্নায় বসেন। যদিও আটক ও গ্রেফতারি নিয়ে কোনও কথা বলেননি রত্না।