কলকাতায় ঠাকুর দেখতে গিয়ে সন্ধ্যায় প্রপোজ, অষ্টমীর রাতেই পাড়ার মণ্ডপে বিয়ে!

কলকাতায় ঠাকুর দেখতে গিয়ে সন্ধ্যায় প্রপোজকলকাতায় ঠাকুর দেখতে গিয়ে সন্ধ্যায় প্রপোজ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কলকাতায় ঠাকুর দেখতে গিয়ে সন্ধ্যায় প্রপোজ, অষ্টমীর রাতেই পাড়ার মণ্ডপে বিয়ে সেরে ফেললেন হুগলির সুদীপ-প্রীতমা। পরিচয় হয়েছিল আড়াই মাস আগে। প্রথম দেখা অষ্টমীর রাতে। আর ওই রাতেই বিয়ে করে ওই তরুণ-তরুণী রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

হুগলির হিন্দমোটরের বাসিন্দা সুদীপ ঘোষাল। পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। ওই জেলারই শেওড়াফুলির বাসিন্দা প্রীতমা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতেই একটি বুটিক চালাতেন। মাস আড়াই আগে ফেসবুকে দু’জনের পরিচয়। তার পর মোবাইল নম্বর দেওয়া-নেওয়া। এর পর ফোনে হোক বা ভিডিও কল— দু’জনের মধ্যে কথাবার্তার আদানপ্রদান হয়েছে বহু। কিন্তু দেখা কখনও হয়নি। আড়াই মাস পর অষ্টমীর সন্ধ্যায় সেটাই হল কলকাতায়। তা-ও বড় কাকতালীয় ভাবে!

বাংলার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

ওই সন্ধ্যায় দু’জনেই আলাদা আলাদা ভাবে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন। রাত আটটা নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে কথা হতেই দু’জনেই জানতে পারেন, তাঁরা খুব কাছাকাছি রয়েছেন। এবং দু’জনের গন্তব্য এক— সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপ। এর পরেই রাস্তায় দেখা হয়ে যাওয়া। প্রথম দেখাতেই প্রপোজ করে বসেন সুদীপ। রাজি হয়ে যান প্রীতমাও। দু’তরফের বন্ধুরাও ভীষণ খুশি। এর পরেই ঠিক হয় তাঁরা হিন্দমোটরে ফিরে যাবেন।

বাইকে করে সকলে মিলে এর পর সুদীপের বাড়ি। সেখান থেকে পাড়ার দুর্গা মণ্ডপ। পুরোহিত, ঢাকি, ছেলের বাড়ির লোকজন, দু’জনের বন্ধুবান্ধব, পাড়ার লোকজন— পুজো মণ্ডপের ছাদনাতলাতেই দুর্গার সামনে মালাবদল, সিঁদুরদান। রাত তখন ২টো।

সুদীপের বাবা-মা আদর করে বরণ করে নিয়েছেন প্রীতমাকে। বিয়ের খবর পৌঁছেছে শেওড়াফুলিতে প্রীতমার বাড়িতেও। সে বাড়িতে বিয়েটা মানবে তো? প্রশ্নটা একটু চিন্তায় ফেলেছে প্রীতমাকে। তবে এ সব নিয়ে ভাবতে চাইছেন না সুদীপ। তাঁর কথায়, ‘‘মা দুর্গা সহায় আছেন তো!’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)