ভাঙড়ে গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের, অভিযুক্ত আরাবুল

ভাঙড়ে গুলিতে মৃত্যুভাঙড়ে গুলিতে মৃত্যু

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠা ভাঙড়ে গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম হাফিজুল মোল্লা। তাঁর বয়স ২৫।

শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকা উত্তপ্ত ছিল। সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানা এলাকার পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন এলাকায় মিছিল করেছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের লোকজন। পরে এ দিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পাল্টা মিছিল করে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলকারীরা। সেখানেই সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।

আরাবুল বাহিনীর বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই পিছু হঠতে থাকে আরাবুল বাহিনী। তবে আরাবুল ইসলাম নিজে নাকি গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আন্দোলকারীরাই নাকি গুলি ছুড়ছিল তাঁদের লক্ষ্য করে। নিজেদের ছোড়া গুলিতেও জখম হয়েছে হাফিজুল, এমনটাই দাবি আরাবুলের।

নতুনহাট থেকে ডিবডিবে পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আন্দোলকরারীরা। অভিযোগ, সেই মিছিল পাওয়ার গ্রিডের কাছাকাছি আসতেই আরাবুল বাহিনী মিছিল লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে থাকে। পাল্টা বোমা ছুড়তে থাকে আন্দোলকারীরাও। শুধু বোমা নয়, দু’পক্ষই গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলকারীদের মিছিলে ছিলেন মাছিভাঙা ও খামারআইট গ্রামের বাসিন্দারা। অভিযোগ, আরাবুল বাহিনীর ছোড়া গুলিতে জখম হন হাফিজুল মোল্লা(২৫)। তিনি মাছিভাঙা গ্রামের বাসিন্দা। জখম অবস্থায় তাঁকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা হাফিজুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। এমনটাই আন্দোলকারীদের তরফে দাবি করেছেন শমিষ্ঠা চৌধুরী।

ওরা রাস্তায় জন্মায়, রাস্তায় বাঁচে, ওরা বিশ্বকাপও খেলবে

 পুলিশ সূত্রে খবর, হাফিজুলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর লাউহাটি-হাড়োয়া রোড অবরোধ করা হয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাওয়ার গ্রিড চত্বরের দখল নেয় আন্দোলকারীরা। আরাবুলের দলীয় অফিস ভাঙচুর করা হয়। আরাবুল বাহিনীর বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই পিছু হঠতে থাকে আরাবুল বাহিনী। তবে আরাবুল ইসলাম নিজে নাকি গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আন্দোলকারীরাই নাকি গুলি ছুড়ছিল তাঁদের লক্ষ্য করে। নিজেদের ছোড়া গুলিতেও জখম হয়েছে হাফিজুল, এমনটাই দাবি আরাবুলের।

ঘটনার পর পরই বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসারও কাশীপুর থানার এলাকায় পৌঁছন। তবে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এ দিন আরাবুলের ভাই আজিজুর ইসলাম ওরফে খুদের নেতৃত্বেই আন্দোলনকারীদের মিছিলে হামলা চালানো হয়েছিল। রাতেই আরাবুলকে গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে বারুইপুর জেলা পুলিশের কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।