কলকাতা মেট্রো: দরজায় হাত আটকা অবস্থায় ছুটল ট্রেন, মৃত্যু যাত্রীর

কলকাতা মেট্রো

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কলকাতা মেট্রো যে মরণ ফাঁদ তা টের পেতে আর বাকি নেই। কিন্তু এমন মর্মান্তিক ঘটনা যে ঘটে যেতে পারে তাই কে ভেবেছিল। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিট থেকে ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাত আটকে যায় যাত্রীর। কিন্তু থামেনি ট্রেন। প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় ৫০ মিটার টেনে নিয়ে যায় তাঁকে ট্রেন। প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরতেই লাইনে ছিটকে পড়েন সেই যাত্রী। ততক্ষণে ট্রেনের একটা অংশ ঢুকে পড়েছে টানেলে। পোড়া গন্ধ ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে ট্রেনের অন্দরের। পিছনের কামরার যাত্রীরা কিছুই টের পাননি। তৈরি হয় আগুন আতঙ্ক। বিপদ বুঝতে পেরে তখন ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন ট্রেনের চালক।

হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত ব্যক্তির নাম সজল কাঞ্জিলাল বলে জানা গিয়েছে। একটা সময় দরজার মাঝখানে কিছু পড়লে বা থাকলে দরজা খুলে যেতে। সেই লক্ষ্যে বন্ধ হতে থাকা দরজায় দিকে হাত বারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ভুলে গিয়েছিলেন আজকাল দরজা খোলে না। দরজার সেন্সর কাজ করে না কলকাতার মেট্রোয়। কাজ করে না ইমার্জেন্সি বোতামও। সেটা টিপেও চালককে জানানোর চেষ্টা করেছিলেন দেখতে পাওয়া যাত্রীরা। সেটাও কাজ করেনি। ভিতর থেএকে মৃত ব্যাক্তির হাত টেনে ধরে বাঁচানোরও চেষ্টা করেছিলেন যাত্রীরা। তাও সম্ভব হয়নি।

এর পর আধা টানেল ও আধা প্ল্যাটফর্মে থাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে যায়। ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগও। বন্ধ এসি কামরায় তখন দম বন্ধ করা পরিস্থিতি। পড়ে যায় হুরোহুরি। এর পর পিছনের দরজা দিয়ে যাত্রীদের বের করে আনা হয়। স্টেশন থেকে একজন মানুষ ট্রেনের সঙ্গে ঘষতে ঘষতে এগিয়ে যাতে কেউ দেখল না কেন? কোথায় ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা? প্রশ্ন উঠছে কলকাতা শহরের মরনফাঁদ নিয়ে।

তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানা গিয়েছে এই ব্যাক্তি নন্দন চত্তরে বই বিক্রি করতেন। তিনি ওই চত্তরের পরিচিত মুখ। নাটকের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। কলকাতায় থাকতেন মামাতো ভাইরে সঙ্গে।

এর আগে দমদম থেকে ওঠা এক মহিলার ব্যাগ আটকে গিয়েছিল কিন্তু দরজার খোলেনি। ওভাবে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত যাওয়ার পর যখন উল্টোদিকের দরজা খুলেছিল তখন সেই ব্যাগ উদ্ধার হয়েছিল। আর আজ একটা জীবন চলে গেল।

(বাংলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)