আহত হয়েছিলেন মোদীর সভায়, ক্ষতিপূরণ মিলল মমতার তহবিল থেকে

আহত হয়েছিলেন মোদীর সভায়মেদিনীপুর মেডিক্যালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আহত হয়েছিলেন মোদীর সভায় ভাষণ শুনতে গিয়ে। সংখ্যাটা নেই নেই করে ৯০। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁদের অনেকেই। কেউ বা মেদিনীপুরেরই বিভিন্ন নার্সিংহোমে। বৃহস্পতিবার বিকালে আচমকাই তাঁদের দেখতে গেলেন মমতা। শুধু দেখতে যাওয়াই নয়, তাঁদের চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা মঞ্জুরও করলেন।

গত সোমবার মেদিনীপুরের কলেজিয়েট মাঠে সভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে সেই সভা চলাকালীন ভেঙে পড়ে দর্শকাসনের একটা বড় অংশ। সেই ঘটনায় প্রায় শতাধিক মানুষ জখম হন। তাঁদের প্রত্যেককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বেশ কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হয়। কয়েক জন স্থানান্তরিত হয়ে যান স্থানীয় নার্সিংহোমগুলিতে।

ঘটনার পর পর ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়েছিলেন আহতদের দেখতে। আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী দফতর বা ওই সভার আয়োজক বিজেপি— কারও তরফেই আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব বা সেই খরচ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। ঘটনার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন আহতদের চিকিৎসার ভার রাজ্যের।

২০১৮ আইএফএ শিল্ড জিতে ছোটরা বদলা নিল দাদাদের হারের

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে আচমকা মেদিনীপুর মেডিক্যালে আহতদের দেখতে যাবেন তা কেউ ভাবতে পারেননি। আগামী কাল শুক্রবার খড়্গপুর আইআইটি-র সমাবর্তনে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি এ দিন দুপুরেই কলকাতা থেকে রওনা হন। রাতে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে তাঁর থাকার কথা। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় মেদিনীপুর শহরে ঢুকতেই দেখা যায় সেটা দৌড়চ্ছে হাসপাতালের দিকে।

হাসপাতালে ভিতরে গাড়ি থেকে নামতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কর্তা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে। এর পর মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে যে ওয়ার্ডে আহতরা ভর্তি রয়েছেন সেখানে যান। ওই দুর্ঘটনায় আহতদের মাত্র দু’জন এই মুহূর্তে হাসপাতালে বর্তি রয়েছেন। তাঁদের পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের চিকিৎসার খবরাখবর নেন।

এর পর মুখ্যমন্ত্রী শহরের একটি নার্সিংহোমেও গিয়েছিলেন। সেখানেও কয়েক জন আহত ভর্তি রয়েছেন। এর পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, আহতদের কয়েক জনের এখনও চোট রয়েছে। পায়ে আঘাত পেয়েছেন তাঁরা । আহতরা দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। আহতেরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন,  তাঁরা কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে গুরুতর আহতদের এক লক্ষ টাকা এবং তুলনামূলক কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।

আহতদের সঙ্গে কথা বলার পর চূড়ান্ত হয়, মোট পাঁচ জন আহতকে এক লক্ষ টাকা করে এবং চার জনকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।