জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মমতার মন্ত্রীসভা ঘোষণা হয়ে গেল সোমবার। কোভিড পরিস্থিতিতে জাকজমকহীন এই মন্ত্রীসভায় সকলে শপথ নিলেন এক সঙ্গে। কেউ কেউ যোগ দিলেন ভার্চুয়ালিও। এদিন রাজভবনে সকাল ১১টা থেকে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে শুরু হয় শপথ পর্ব। সেখান থেকে নবান্নে এসে সবাইকে তাঁর দফতর ভাগ করে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাতে রাখলেন স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান, তথ্য ও সংস্কৃতি, প্রশাসন ও কর্মিবর্গ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।
উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের গাঁট। সেখানে বার বার ধাক্কা খেতে হয়। উত্তরবঙ্গবাসীরও অভিযোগ রয়েছে উন্নয়ন থেকে শুরু করে সেখানের সিন্ডিকেটরাজ নিয়ে। এবার শক্তহাতে সেই সমস্যা মেটাতেই হয়তো নিজের হাতে রাখলেন এই দফতর। এ ছাড়া অনেকেই যাঁর যাঁর পুরনো মন্ত্রীত্বতেই থাকলেন। আবার বদলে গেল অনেক দফতরের অনেক মুখ।
অমিত মিত্রর হাতেই থাকল অর্থ দফতর। স্কুল ও উচ্চ শিক্ষা দফতর থাকছে ব্রাত্য বসুর হাতে। এর আগে সাময়িক সময়ের জন্য এই দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পার্ত চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্যে পড়ল শিল্প ও বানিজ্য এবং তথ্য প্রযুক্তি ও পরিষদীয় দফতর। জ্যোতিপ্রিয়র থেকে খাদ্য দফতর নিয়ে দেওয়া হল রথীন ঘোষকে এবং জ্যোতিপ্রিয়কে দেওয়া হল বন ও অচিরাচরিত শক্তি দফতর।
ইন্দ্রনীল সেন পেলেন পর্যটন ও তথ্য-সংস্কৃতি দফতর। মানস ভুঁইয়া জলসম্পদ উন্নয়ন, উজ্জ্বল বিশ্বাস কারামন্ত্রী। কৃষ্টি গেল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। ক্রীড়াও যুবকল্যান দফতর থাকল অরূপ বিশ্বাসের কাছে।
ফিরহাদ হাকিমকে দেওয়া হল পরিবহন ও আবাসন দফতর। পুর ও নগোরন্নয়নের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এ ছাড়া অখিল গিড়ি মৎস, রত্না দে নাগ পরিবেশ, হুমায়ুন কবীর কারিগরি শিক্ষা, শিউলি সাহা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন—এঁরা সকলেই স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন। ক্রীড়া ও যুবকল্যান দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন মনোজ তিওয়ারি।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)