নির্বাচন শেষে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে সভা তৃণমূল ভবনে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: নির্বাচন শেষে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন সুস্থ ও নিরপেক্ষ ভোটের দাবিতে। তাঁর অভিযোগ বিজেপির কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন। যে কারণে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়া স্বত্বেও নির্বাচন বিধি পরিবর্তন করতে চায়নি কমিশন। যদিও শেষ বেলায় এসে সভা, র‍্যালি, প্রচারের রাশ টেনেছে কমিশন। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেড়ি হয়ে গিয়েছে।

এদিন পুরো সভাটাই দুরত্ব বিধি মেনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে ছিলেন মাত্র চার জন। এর সঙ্গে তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে এনেছেন। যেখানে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ও জেলা পুলিশ আধিকারিকদের কথপোকথন রয়েছে।

রাজ্যে আর বাকি দু’দফার ভোট। তার পরই ২ মে ফল প্রকাশ। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট এবার লড়াইয়ের কেন্দ্রে তৃণমূল আর বিজেপি। প্রতি দফার ভোটের আগে তাঁর তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠদের নজরবন্দি কিংবা আটক করা নিয়ে কথপোকথন ভাইরাস হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সভা থেকে কী কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী শুনে নিন—

“বাংলা দখল করতে গিয়ে সারা দেশকে, রাজ্যকে সঙ্কটে ফেলেছে। এখনো পর্যন্ত ফ্রি ভ্যাক্সিন আপনারা জানেন, ৬০% গুজরাত পেয়েছে। আমরা বলছি ভ্যাক্সিন আমাদের দেওয়া হোক এবং একটি রেট বেঁধে দেওয়া হোক।”

“আমাদের বাংলায় যে অক্সিজেন সাপ্লাই করতো – সেল, তাদের ইউপি-তে দিয়ে দিচ্ছে। বাংলার চেনটা ইউপি-তে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যাতে বাংলায় অক্সিজেনের অভাব হয়। আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিটে যে অক্সিজেনটা ব্যবহার হয়, সেটা টোটাল হেল্থের কাজে শিফট করে দিয়েছি।”

“যাদের বেশি প্রয়োজন তাদের যদি টোটাল আমরা ইঞ্জেকশনটা দেওয়া চেষ্টা করি সারা দেশে, ₹২০,০০০ কোটির মধ্যে কিন্তু ইঞ্জেকশনটা হয়ে যায়। পি এম কেয়ারস ফান্ডে তো লক্ষ-লক্ষ-কোটি টাকা উঠেছে! আজকে মানুষের জীবন-মৃত্যুর খেলা, সেখানে ₹২০,০০০ কোটি খরচ করা কী এমন ব্যাপার?”

“গত ৭ই মার্চ হর্ষবর্ধন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কোভিড চলে গেছে। হু ২০২০ থেকে অক্সিজেনের প্ল্যানিং, অক্সিজেন সারচার্জের প্ল্যানিং রেডি করতে বলেছিল সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোনো মিটিং-এ স্টেটগুলোর কাছে সে কথা বলেননি।”

“নির্বাচন কমিশনকে আমরা সম্মান করি একটি নিরপেক্ষ অর্গানাইজেশন হিসেবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা আমরা প্রথম দিন থেকে দেখতে পাচ্ছি! একমাত্র বিজেপি যা বলছে তাই হচ্ছে। আজকে কোভিড বেড়ে গেল নির্বাচন কমিশনের বিজেপির কথা শুনে কাজ করার ফলে।”


“আমার কাছে যা কাগজ, প্রমাণ আছে, এবার আমি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে যাব। দেশে নির্বাচনকে কীভাবে নিরপেক্ষ করা যায়- আমরা সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে যাব। বিজেপি যা বলছে ৩টে লোক মিলে তাই করছে। কেন প্রিভেন্টিভ ডিটেনশনে রাখা হবে? বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য?”

“বিজেপিকে আপনারা ৭০ ক্রস করাতে পারবেন না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।”

নির্বাচন কমিশনের কাছে খবর ছিল যে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে চলেছে, তারপরে আমাদের অনুরোধ সত্বেও তারা নির্বাচন বিধি বদলালো না। কেন আপনারা বিজেপিকে বাংলা দখলের লোভ দেখিয়ে তাদের সাহায্য করছেন? –

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)