অমিতকে কটাক্ষ মমতার, ‘ফুচকা খাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফুলকো লুচি খাবে’

অমিতকে কটাক্ষ মমতার

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: অমিতকে কটাক্ষ মমতার, ভরা সভায় তাঁকে ‘কদর্য’ এবং ‘দৈত্যপরায়ণ’ মনোভাব সম্পন্ন বলে আক্রমণ শানালেন। বললেন, ‘‘ফুচকা খাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফুলকো লুচি খাবে।’’ বৃহস্পতিবার তৃণমূলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ সফর সেরে কলকাতায় ফেরেন। আলিপুরের ‘উত্তীর্ণ’তে তাঁর সভা ছিল বিভিন্ন সমাজসেবী এবং ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে। সেখানেই ওই মন্তব্য করেন তিনি।

ঘটনাচক্রে এ দিন বঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রথমে কোচবিহার এবং পরে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে তিনি দু’টি জনসভা করেন। প্রথমটিতে রাজবংশী এবং দ্বিতীয়টিতে তাঁর সভা ছিল মতুয়াদের নিয়ে। দু’টি সভা থেকেই তিনি মমতাকে আক্রমণ করেন। প্রথম সভা থেকে বলেন, ‘‘ভোট শেষ হতে না হতেই মমতাদিও জয় শ্রীরাম বলবেন।’’


আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরও পাল্টা এ দিন দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দিদি গলা কেটে দেব, তা-ও আপনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।’’ অমিতকে তিনি ব্রিগেডে ‘রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক খেলা’র আহ্বান জানান। সঙ্গে সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও তিনি ‘ওই দলে’ দিয়ে বলেন, ‘‘হোক না একটা খেলা! রাজনীতির খেলা। গণতন্ত্রের খেলা। দেখা যাক কে হারে কে জেতে! আপনারা থাকবেন। সঙ্গে সিপিএম, কংগ্রেসকেও দিয়ে দিলাম। ব্রিগেডে এক দিকে জগাই, মাধাই আর গদাই। অন্য দিকে আমি। আমি কিছু করব না। শুধু গোলরক্ষক। দেখি ক’টা গোল আপনারা দিতে পারেন! খেলা অত সহজ নয়।’’

তবে অমিতকে স্বাগত জানানোর সৌজন্য ভোলেননি মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আজকেও তিনি এসেছেন। আমাদের এখানে আসুন। সবাইকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু তিনি এসে যে কথাগুলো বলে গেলেন…তাঁদের শারীরিক ভঙ্গি, ভাষার কদর্যতা এবং দৈত্যপরায়ণ মনোভাব, দুরন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেন ধমক দিতে এসেছেন!’’

 

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

কোচবিহারের সভা থেকে অমিত তৃণমূল নেতৃত্ব এবং সরকারকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। তৃণমূলনেত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমি দুর্নীতিপরায়ণ হলে তোমরা কী?’’ ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘সংযম’ দেখানোর বিষয়টিও বিজেপি নেতৃত্বকে মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘এটা বাংলা। এখানে গুন্ডামি চলবে না।’’

পরে রাতে একটি টিভি চ্যানেলের কনক্লেভে অমিত শাহকে নন্দীগ্রামে ভোটে লড়ার আহ্বানও জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে আমার বিরুদ্ধে ভোটে লড়ুন উনি।’’ তার পাল্টায় যদিও ওই একই কনক্লেভে আমন্ত্রিত অমিত কিছু ক্ষণ পরে যান। তাঁর মন্তব্য, ‘‘একজন বাঙালিই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। গুজরাতিরা বাংলার ভোটে লড়বেন না। লড়বেন বাঙালিরাই।’’