মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, দল মানেনি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম, এমনটাই জানালেন তিনি স্বয়ং। শনিবার তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে নির্বাচনী ফল পর্যালোচনার বৈঠক ছিল। সেখানেই দল তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার অনুমতি দেয়নি। তবে সেই অনুমতি না মিললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন থেকে সরকারি কাজের চেয়ে দলের কাজেই তিনি বেশি সময় দেবেন।

এ দিন বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মমতা। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টায় আপত্তি করেন। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িকতায় দুষ্ট পরিবেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার ইচ্ছা আমার নেই। তাই আমি দলকে আমার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু দল সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমি চেয়ারের পরোয়া করি না। রেলমন্ত্রক ছাড়তে আমার এক মিনিট সময় লেগেছিল। আমার চেয়ারের প্রয়োজন নেই। চেয়ারের প্রয়োজন আমাকে। আমি মানুষের কাজ করতে ভালবাসি। আমার মা চাইতেন, মমতা যেন মমতাই থাকে। আমি মমতাই থাকব।’’

ফের অনুজ-জ্ঞানবন্ত কলকাতা-বিধাননগরের সিপি

লোকসভা ভোটে ধাক্কার পরে আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলনেত্রীর এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক মহল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে। ভোটের এই ফলের পিছনে তৃণমূলের সাংগঠনিক বিভিন্ন ফাঁকফোকরের কথা এখন প্রকাশ্যেই আলোচিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী দলের ভিতরে দূর্বলতার দিকগুলি এ বার নিজেই মেরামত করতে চান বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচনী ফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তাঁর কথা, ‘‘যুবশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী করেছি। মানুষের মৃত্যুর সময় পর্যন্ত পাশে দাঁড়িয়েছি। তার পরেও মানুষ পছন্দ না করলে, না করবেন। বেশি কাজ করে ফেলেছি।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য,  ‘‘দলেরও (তৃণমূল) কিছু লোক আছে লোভী। কেউ কেউ বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। সে সব চিহ্নিত করেছি। কড়া ব্যবস্থা নেব।’’ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পর থেকে রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশ কমিশনের অধীন। তাদের কাজে সরকারের কার্যত বিশেষ ভূমিকা নেই। এ নিয়ে আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন সেই প্রসঙ্গ টেনে ফের বলেন, ‘‘এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করছে। বহু ঘটনা ঘটছে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পুলিশ। তারা আমাকে রিপোর্ট পর্যন্ত দিচ্ছে না।’’ কয়েক মাস ধরে তিনি কোনও সরকারি কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ জানান মমতা।

(বাংলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)