একুশের সভা থেকে বিজেপিকে খোঁচা মমতার, ‘প্যান্ডেল করতে পারে না, তারা নাকি দেশ গড়বে’

একুশের সভা থেকে বিজেপিকে খোঁচা মমতারধর্মতলার মঞ্চে তৃণমূলনেত্রী। ছবি, ভিডিয়ো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: একুশের সভা থেকে বিজেপিকে খোঁচা দিলেন একের পর এক। আর সে সব শুনে ঢেউ উঠল বৃষ্টিভেজা মধ্য কলকাতার রাস্তায় রাস্তায়। যে সব রাস্তা শনিবার টইটুম্বুর ছিল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকে।

এ দিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সেই বৃষ্টিকে মাথায় করেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে ধর্মতলার দিকে এগোতে তাকে তৃণমূলের মিছিল। গোটা রাজ্য থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশ আগে থেকেই শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বেলা ১১টা থেকে সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সকাল থেকে প্রকৃতি বিরূপ হয়ে ওঠে। কিন্তু, সে সবকে তোয়াক্কা না করেই মধ্য কলকাতা কার্যত ভরিয়ে তোলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।

বেলা একটা বাজার একটু আগেই ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের মঞ্চে পৌঁছন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের মঞ্চে তখন ভাষণ দিচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

ঠিক একটার সময়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের শহিদ স্মরণ সমাবেশে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন মমতা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও যে ভাবে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা সভাস্থলে এসেছেন, সে জন্য প্রথমেই মমতা তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানান।

দেখে নিন ভিডিয়ো…

আগামী বছরই দেশে লোকসভা নির্বাচন। মমতা যে তাঁর বক্তব্যের সুর ওই নির্বাচনের তারেই বাঁধবেন, তা আগে থেকেই আঁচ করা যাচ্ছিল। প্রত্যাশা মতো সেই পথেই এগিয়েছে তাঁর ভাষণ। একের পর এক মন্তব্যে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। মেদিনীপুরে কয়েক দিন আগে বিজেপি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক সভাস্থলে দর্শকাসনের ছাউনি এবং কাঠামো ভেঙে ৯০ জন আহত হন। সেই বিজেপি দেশে সরকার চালাচ্ছে। তাই মমতা কটাক্ষ করে এ দিন বলেন, ‘‘যারা প্যান্ডেল করতে পারে না, তারা নাকি আবার দেশ গড়বে!’’

লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে আপনি ঠিক করেননি রাহুল

এর পরেই তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের প্রতিটিতে জেতার আহ্বান জানান। বলেন, ‘‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ থাক, বিজেপি গোল্লায় যাক।’’ পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, আগামী বছরের শহিদ স্মরণে সমাবেশ হবে লোকসভায় জেতার সভা। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, লোকসভায় এ বার পথ দেখাবে তৃণমূল। ২০১৯-এ যে এ রাজ্যে বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারবে না এ দিন তা নিয়েও কর্মা-সমর্থকদের আস্বস্ত করেন তৃণমূলনেত্রী।

এ দিনের সমাবেশে এসে বিরোধী শিবিরের বেশ কয়েক জন তৃণমূলে যোগ দেন। তাদের মধ্যে যেমন রয়েছেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা চন্দন মিত্র, তেমনই চার জন কংগ্রেস বিধায়ক। পাশাপাশি এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলায় বিজেপি থেকে জেতা কয়েক জনও যোগ দেন। মমতা তাঁদের প্রত্যেককে অভিনন্দিত করেন।