লোকাল ট্রেনে প্রকৃতির ছোঁয়া, ছুয়ে গেল মন

লোকাল ট্রেনে প্রকৃতির ছোঁয়া

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: লোকাল ট্রেনে প্রকৃতির ছোঁয়া । বারাসত থেকে ট্রেনে উঠেই চমকে গিয়েছিলেন শর্মিলা। প্রতিদিন তো এই পথেই যাতায়াত। কিন্তু এমন দৃশ্য তো কখনও দেখেননি। চমকে যাওয়ার পাশাপাশি ভাললাগায় ভরে গিয়েছিল মন। এমনিতে তো লোকাল ট্রেন মানে ধাক্কাধাক্কি, ভিড়ে ঠাসাঠাসি, সঙ্গে গালাগালি, ঝগড়া কিছু বাদ যায় না। কিন্তু এমন মন ভাল করে দেওয়া লোকাল ট্রেনের ছবি স্বপ্নেও কেউ ভাবেননি। কিন্তু বাস্তবে সেটা করে দেখাল ইস্টার্ন রেল।

লোকাল ট্রেনের সেই অদ্ভুত সব বিজ্ঞাপনকে ছাপিয়ে চোখের সামনে ফুটে উঠল প্রকৃতি। গ্রামের রাস্তা ধরে পেড়িয়ে যাওয়া অনেকটা দূর। ছোট্ট কুড়ে ঘরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট নদী। চলে গিয়েছে আকেবাঁকে। ঘাটে বাঁধা রয়েছে নৌকো। কোথায় সেই ঘাসের মাঠ পেড়িয়ে বেলুন হাতে ছুটে চলেছে ছোট্ট শিশু। তখনই নদীর উল্টো পাড়ে ডুব দিচ্ছে সূর্য।

হ্যা, এই সব দৃশ্য নিয়েই ছুটতে শুরু করল লোকাল ট্রেন। বারাসত থেকে শিয়ালদহ মাতৃভূমি লোকাল। এই ট্রেন শুধু মেয়েদের জন্য। ফাঁকাই থাকে। শর্মিলা বলছিলেন, ‘‘ওই সময় যখন ট্রেনে উঠি বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু ট্রেনে উঠে এ ভাবে রিফ্রেশ হয়ে যাব কে জানত। মনটাই ভাল হয়ে গিয়েছিল। সব ট্রেন এরকম হয়ে গেলে আমার মনে হয় ট্রেনের ঝগড়া, কটূ কথা সব থেমে যাবে।’’

এই ট্রেন প্রথম বারাসত থেকে সকাল ৯.২৮এর মাতৃভূমী হিসেবে ছেড়েছিল। কিন্তু তার পর দিন রাতে তা গেদে লোকাল হয়ে ফেরে। এ ভাবেই একটি ট্রেনকে সব পথে চালিয়ে দেখে নিতে চাইছে মানুষের রেসপন্স। শুরুতেই দারুণ সাড়া পাওয়া গিয়েছে। লেডিস স্পেশাল হওয়ার ফাঁকা ফাঁকা থাকায় দারুণ উপভোগ করেছেন যাত্রীরা। এ বার এ ভাবেই লোকাল ট্রেনের পরিবেশ ঠিক করতে চাইছে রেল।

প্রোটোকলটা আসলে কী? কেউ জানে না