১২ ঘণ্টার হরতাল ডাকল পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বামেরা, স্কুল খুলতেই ছাত্র ধর্মঘট

১২ ঘণ্টার হরতাল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ১২ ঘণ্টার হরতাল ডাকল বামেরা। সমর্থন করল কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। বাম-কংগ্রেসের ছাত্র এবং যুব সংগঠনগুলি একত্রিত হয়ে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে শামিল হয়। কিন্তু পথে মধ্য কলকাতায় পুলিশ তাদের মিছিল আটকায়। আর তাতেই বাধে ধুন্ধুমার। পুলিশের বিরুদ্ধে বেধড়ক লাঠি চালানো-সহ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো থেকে শুরু করে জলকামান চালানোর অভিযোগ ওঠে। এর পরেই পুলিশি ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা হরতালের ডাক দেয় বামেরা। সেই হরতালকে সমর্থন করে কংগ্রেস এবং ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির নতুন দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।

রাজ্যে নয়া শিল্প স্থাপন, বেকারত্ব বৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম ও কংগ্রেসের ১০টি ছাত্র ও যুব সংগঠন। কলেজ স্ট্রিট থেকে মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে একটি মিছিল পৌঁছয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। নবান্ন অভিযানে যাওয়ার কথা থাকলেও মিছিল সেখানেই আটকে দেয় পুলিশ। বাধা দিতেই পুলিশের সঙ্গে অভিযানকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের পাল্টা অভিযোগ, বাম কর্মী-সমর্থকদের তাড়া করে পেটায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা লাঠি চালায়। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তির পাশাপাশি পুলিশের লাঠি চালানো এবং জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটে। ঘটনায় আহত হন অনেকে।


আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এর পর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘আমরা বামফ্রন্ট এবং সমস্ত সহযোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। শুক্রবার ১২ ঘণ্টার হরতাল পালন করা হবে। ওরা মিছিলের গতিপথ স্তব্ধ করতে চেয়েছে। শুক্রবার এ রাজ্যের মানুষ রাজ্যকে স্তব্ধ করবে।’’

শুক্রবার হরতালের দিনই প্রায় ১ বছর পরে রাজ্য জুড়ে খুলছে স্কুল। কিন্তু বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এ দিন। এসএফআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এত দিন স্কুল বন্ধ ছিল। আমরা বার বার বলা সত্ত্বেও সরকার স্কুল খোলেনি। তারই প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন ছিল। যে হেতু শুক্রবার থেকে স্কুল খুলছে, তাই আমরা ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ছাত্র ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে কেউ যদি স্কুলে আসেন, তবে আমরা বাধা দেব। আমাদের অবস্থান বিক্ষোভে শামিল করাব।’’


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)