প্রচুর মাদক উদ্ধার কলকাতা রেলস্টেশনে, গ্রেফতার ৫ চিনা নাগরিক

প্রচুর মাদক উদ্ধারপ্রচুর মাদক উদ্ধার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রচুর মাদক উদ্ধার করল রেল পুলিশ। তা-ও আবার কলকাতা রেলস্টেশন চত্বর থেকে।

ওই মাদক পাচারের অভিযোগে চার চিনা নাগরিককে হাতেনাতে ধরেছে রেলপুলিশ। দমদম জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কলকাতা রেলস্টেশন চত্বরে জনা পাঁচেক লোক একটি বাসের আড়ালে বসে কিছু একটা করছিল। সেই সময় রেলপুলিশের নজরে আসে বিষয়টি। দেখা যায়, পাঁচ চিনা নাগরিক ওখানে বসে ফয়েলের ভিতরে কিছি একটা ভরছিল। সন্দেহ হতেই টহলদার রেলপুলিশ কর্মীরা তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর ফয়েলের বাক্স। তাদের করে তল্লাশি করতেই জানা যায়, তারা ফয়েলে ভরে মাদক পাচার করছিল। প্রাথমিক ভাবে গোয়েন্দাদের ধারণা, অ্যামফিটামিন জাতীয় ওই মাদক মূলত পার্টিতে নেশার জন্য ব্যবহার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ২ কুইন্টাল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। চিনা নাগরিকদের কাছে প্রচুর মাদক উদ্ধার হওয়ায় গোয়েন্দাদের ধারণা, এই চক্রের পিছনে বড় মাথা রয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে পাসপোর্ট মিলেছে। ওই দলে থাকা ওয়াং জিয়াদং এর আগেও বার কয়েক এ দেশে এসেছে। দলের অন্য চার জন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিয়মিত যাতায়াত করে বলেই খবর।

স্ত্রীকে খুন করে স্বামী থানায় এসে বললেন, ‘আমি খুন করেছি’

কিন্তু এত মাদক কী ভাবে কলকাতা স্টেশন চত্বরে এল? তদন্তকারীদের একাংশ বলছেন, বিমানে করে এত পরিমাণ মাদক পাচার করা প্রায় অসম্ভব। সে ক্ষেত্রে প্রচুর মাদক জলপথে নিয়ে আসা হয়েছে বলেই মনে করছেন তারা। প্রচুর মাদক যে সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে এ রাজ্যে সে ব্যাপারে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। ধৃতদের এক জনই ভাঙা ভাঙা ইংরেজি বলতে পারে। বাকিরা চিনা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বোঝে না বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

রেল পুলিশ সূত্রে খবর, শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশন দিয়ে মাদক পাচার হওয়ার আগেই খবর মিলেছিল। সেই মতো স্টেশনগুলিতে টহলদারি শুরু করা হয়। শুক্রবার রাতে চিনারা ধরা পড়ার পর প্রথমে ফয়েল খোলা হয়নি। পরে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-কে খবর দিয়ে মাদক পরীক্ষা করানো হয়। তাতেই ওই ফয়েলে ট্যাবলেটগুলি যে মাদক তাজানা যায়। এ ধরনের মামলায় এনসিবি দেশের প্রধান তদন্তকারী সংস্থা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমন্বয় রাখার কাজ তারাই করে। তবে এই তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডিকে।