জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কলকাতায় মায়ের হাতে খুন দু’মাসের মেয়ে, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন তাকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল ম্যানহোলের ভিতরে। ঘটনার কথা জানাজানি হতে গ্রেফতার করা হয় সন্ধ্যা মালো নামে ওই মহিলাকে।
বেলেঘাটার সিআইটি রোডের একটি বহুতলে দোতলার ফ্ল্যাটে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, আট বছরের ছেলে, দু’মাসের মেয়েকে নিয়ে থাকেন সন্ধ্যা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যার শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও ছেলে উত্তর কলকাতার একটি মন্দিরে পুজো দিতে যান। আয়া ও শিশুকন্যাকে নিয়ে ফ্ল্যাটে ছিলেন সন্ধ্যা।
বেলা ১২টা নাগাদ পরিচারিকা কাপড় মেলতে ছ’তলার ছাদে যান। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সন্ধ্যার শ্বশুর ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখেন, বৌমা অচৈতন্য অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। জ্ঞান ফেরার পরে সন্ধ্যা শ্বশুরকে জানান, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে জানায়, পরিচারিকা ছাদের চাবি নিতে ভুলে গিয়েছে। তিনি দরজা খুলতেই ওই ব্যক্তি তাঁকে ছিটকে ফেলে দিয়ে শিশুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। হেমন্তবাবু শিশু অপহরণের অভিযোগ করেন বেলেঘাটা থানায়। পুলিশ সন্ধ্যাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সোমবার সন্ধ্যাকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।
সন্ধ্যা প্রথমে পুলিশের কাছে দাবি করেছিলেন, তাঁর বাড়ির আয়া টুম্পা দাস ছাদে গিয়েছিলেন। সেই সময় কলিং বেল বাজে। বাইরে থেকে আসা এক যুবক জানিয়েছিল, আয়া ছাদের দরজার চাবি চাইছেন। তিনি দরজা খুলতেই ওই যুবক তাঁকে ধাক্কা মেরে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তাঁর কথায় অসঙ্গতি পায় পুলিশ। এর পর ওই রাতেই ফ্ল্যাটের সামনে ম্যানহোল থেকে মুখে লিউকোপ্লাস্ট বাঁধা, গলায় ফাঁস দেওয়া শিশুকন্যার প্লাস্টিকবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। রাতেই পুলিশ সন্ধ্যাকে গ্রেফতার করে।
সোমবার সন্ধ্যাকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শিশুটির মুখের ভিতরে সেলোটেপ ঠেসে দেওয়া হয়েছিল। তাতেই মৃত্যু হয়। পরে নিশ্চিত হতে ফাঁস লাগানো হয় তার গলায়। মুখে সেঁটে দেওয়া হয় লিউকোপ্লাস্ট। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যা দীর্ঘ দিন ধরেই পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগছেন।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
