স্ত্রীকে খুন করে স্বামী থানায় এসে বললেন, ‘আমি খুন করেছি’

স্ত্রীকে খুনস্ত্রীকে খুন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্ত্রীকে খুন করে সরাসরি থানায় হাজির স্বামী। দেখেশুনে তাজ্জব পুলিশকর্মীরা। ওই ব্যক্তির নাম সন্ন্যাসী দাস।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ সোনারপুর থানায় সোজা ডিউটি অফিসারের কাছে চলে গিয়েছিলেন সন্ন্যাসী। বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর তিনি কোনও ভূমিকা না করেই বলে ফেলেন, একটি ছোট করাত দিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রী গলার নলি কেটে খুন করেছেন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওই ডিউটি অফিসার সন্ন্যাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাতেই সব কথা বেরিয়ে পড়ে সন্ন্যাসীর মুখ থেকে। যা শুনে হকচকিয়ে যায় পুলিশও।

পেশায় ভ্যানচালক সন্ন্যাসী দাসের কথা শুনে পুলিশ পৌঁছয় সুভাষগ্রামের ধানমাঠ এলাকায়। সেখানে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখে বাড়ির দরজার সামনেই পড়ে রয়েছে এক মহিলার দেহ। তিনিই সন্ন্যাসীর স্ত্রী মঞ্জু হালদার। বয়স বছর পঁয়ত্রিশেক হবে। পাশে পড়ে রয়েছে সন্ন্যাসীর বয়ানের সেই ছোট্ট করাত। এ পর পুলিশ মঞ্জুদেবীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় সন্ন্যাসীকে। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বার জরুরি অবস্থা নিয়ে খোঁচা দিলেন কংগ্রেসকে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে সন্ন্যাসী স্বীকার করেছেন যে, ছোট করাত দিয়ে মঞ্জু দেবীর গলার নলি কেটে তাঁকে খুন করেছেন তিনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রথমে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে মঞ্জুকে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন সন্ন্যাসী। তার পরে করাত দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেন। কিন্তু কী কারণে খুন? তা অবশ্য এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট করে জানাননি সন্ন্যাসী।

এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থানা এলাকার বাসিন্দা সন্ন্যাসী গত পাঁচ বছর ধরে ধানমাঠ এলাকায় মঞ্জু দেবীর সঙ্গে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতেন। মঞ্জু দেবীর বাড়ি আদতে যাদবপুর এলাকায়। সোনারপুর এলাকায় তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। পুলিশকে সন্ন্যাসী জানিয়েছেন যে, বছর পাঁচেক আগে নিজেদের সংসার ছেড়ে দু’জনে সুভাষগ্রামে চলে আসে। সেখানেই মঞ্জু দেবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন সন্ন্যাসী। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এলাকায় নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলেই পরিচয় দিতেন সন্ন্যাসী-মঞ্জু। তবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করতেন না তাঁরা। অধিকাংশ সময়েই বাড়ির বাইরে থাকত ওই দম্পতি। তবে রাতে একসঙ্গেই বাড়ি ফিরতেন। অনেক সময়েই দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হত বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

কী কারণে এই খুন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে সোনারপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে।