সকলেই কন্যাশ্রী ছাতার তলায়, মমতার ঘোষণায় খুশি রাজ্যের মেয়েরা

কন্যাশ্রী দিবসকন্যাশ্রী দিবস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কন্যাশ্রী দিবসে মেয়েদের জন্য একগুচ্ছ সুযোগ সুবিধার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বার থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসতে আর কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। ফলে সকলেই কন্যাশ্রী পাবে এ বার তেকে। পাশাপাশি তিনি জানান, খুব শীঘ্রই রাজ্যে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই খুশিতে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ দিন নেতাজি ইন্ডোরে হাজির হয়েছিলেন ছাত্রীরা। মমতা তাদের সামনেই ঘোষণা করেন, এখন থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকছে না। সরকারি হিসাব মতো এই মুহূর্তে প্রায় ৫০ লাখ ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রীদের পারিবারিক আয় বছরে দেড় লাখ টাকার কম হতে হত। সেই ঊর্ধ্বসীমাই এ বার তুলে দিলেন মমতা। ফলে আরও ৩ লাখ ছাত্রী কন্যাশ্রীর আওতায় চলে এল। মমতা জানিয়েছেন, এ জন্য সরকারের প্রায় ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে।

মমতা এ দিন দাবি করেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার পর রাজ্যে স্কুলছুট ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ কমেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কন্যাশ্রীর মেয়েরা রাজ্যের গর্ব। দেশের গর্ব। পৃথিবীর গর্ব। এরা সব কিছু জয় করতে পারে।’’ এর পরেই মমতা কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কথা বলেন। মমতা কথায়, ‘‘কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাই। পাশ করার পর কোনও চিন্তা করতে হবে না। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্যাশ্রী মেয়েদের কনফার্ম অ্যাডমিশন।’’

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহড় জুড়ে কড়া নজরদারি, আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা

এখানেই শেষ নয়, মমতা এর পরেই  শিক্ষা দফতর এবং কারিগরি শিক্ষা দফতরকেও নির্দেশ দেন, মেয়েদের যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল করে বিভিন্ন কাজের বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়। পাশ করার পর মেয়েদের যেন বসে থাকতে না হয়। তাদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। মমতার কথায়, ‘‘মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াবে। কারও দরজায় কড়া নাড়তে হবে না। এটাই ওদের স্বপ্নের ভোর হবে। ওরাই রাজ্য গড়বে।’’

কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকা মেয়েদের তিনি ভাল করে পড়াশোনা করতে বলেন মমতা। খেলাধুলোর পাশাপাশি সংস্কৃতির চর্চার কথাও বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কেউ তোমাদের নিয়ে ঠাট্টা করলে বলবে, লড়তে পারলে লড়ো, না হলে মানে মানে সরে পড়ো।’’