জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে গেলেন। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে জোরদার জল্পনা, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ‘মান ভাঙাতে’ই রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজবর্গীয় ঠাকুরনগরে এসেছিলেন শনিবার।
৯ ডিসেম্বর বনগাঁর গোপালনগরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল সমাবেশ ঘিরে তৃণমূল প্রচার শুরু করে শান্তনু ঠাকুর বিজেপি থেকে সরে এসেছেন। ফলে মতুয়ারা তাদের সঙ্গে ফের আছে। এর পরেই মতুয়া-ভোট ধরে রাখতে তৎপর হয় বিজেপি। শনিবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঠাকুরনগরে মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছে জানালেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখানে আসবেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সহযোগিতা করুক, বা না করুক, জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করবে কেন্দ্র।’’
এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে ক্লিক করুন এখানে
কৈলাসের পাশে বসে শান্তনু বলেন, ‘‘আমাদের উপরে চাপ আছে। আমরা মতুয়াদের বোঝাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর উপরে আমাদের আস্থা আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসে ঘোষণা করলে আমরাও দায়মুক্ত হতে পারি।’’ কৈলাসের কাছে নাগরিকত্ব আইন আরও সরল করার দাবি জানিয়ে শান্তনু তাঁকে মনে করিয়ে দেন, মতুয়াদের এই দাবি সামনে রেখেই তাঁর রাজনীতিতে আসা এবং ভোটে দাঁড়ানো।
ठाकुरबारी, बनगांव (पश्चिम बंगाल) में ठाकुरजी के दर्शन करने के बाद बनगांव से लोकसभा सांसद श्री शांतनु ठाकुर (@shantanu_bjp) जी के साथ सौजन्य भेंट की… pic.twitter.com/bKeSgBb8Bi
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) December 12, 2020
নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করা নিয়ে কেন্দ্রের বিলম্বে ইতিমধ্যেই হতাশ মতুয়া সমাজের একটা বড় অংশ। ক্ষুব্ধ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনুও। প্রকাশ্যে সে সব কথা জানাতে শুরু করেছেন তিনিও। বিধানসভা ভোটের আগে শান্তনু বেসুরো হলে তা বিজেপি নেতৃত্বের কাছেও চাপের হতে পারে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠাকুরনগরে জনসভা করতে আসবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন কৈলাস।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)