Hanskhali Rape Case তৃণমূল নেতার ভাগ্নেই কি ধর্ষক?

Hanskhali Rape Case

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Hanskhali Rape Case হাঁসখালির তৃণমূল নেতা সমরেন্দু গয়ালির ভাগ্নে দীপক পোদ্দারই কি ধর্ষণ করেছিলেন ওই কিশোরীকে? বুধবার সকাল থেকে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই অডিওর সূত্রেই এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে। যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জাস্ট দুনিয়া।

ওই অডিওয় তিন জনের কথোপকথন রয়েছে। কখোপকথন থেকে আঁচ পাওয়া যায়, সে দিন রাতে সমরেন্দুর ছেলে ব্রজর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ওই তিন জনও হাজির ছিল। এক জনকে অডিওয় বলতে শোনা গিয়েছে, দীপঙ্কর কিশোরীর সঙ্গে ঘণ্টাখানেক ছিল। সাড়ে আটটা নাগাদ তে কিশোরীকে নিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল অন্য আর এক জন। এর পর কিশোরীর মা তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। এক কণ্ঠস্বরকে বলতে শোনা যায়, অভিযুক্তদের ছাড়াতে দাদু জমি বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা খরচ করবে। তবে এই দাদু কার, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর দীপঙ্করকে পুলিশ আটক করে। যদিও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সমরেন্দুর ছেলে ব্রজ এই মুহূর্তে আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্ট নিজেদের পর্যবেক্ষণে হাঁসখালির এই ধর্ষণ ও মৃত্যুর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবারের ওই নির্দেশের পর সিবিআই বুধবার হাঁসখালি পৌঁছয়।

সোমবার ব্রজকে জেরা করে পুলিশ কোথায় ধর্ষণ করা হয়েছিল, তার হদিশ পায়। সেই সূত্রেই তারা পৌঁছয় ব্রজর ঘরে। সেখান থেকে যে বিছানার চাদর বাজেয়াপ্ত করা হয়, সেই চাদরেই বুধবার বীর্যের নমুনা মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ওই চাদরের ফরেন্সিক তদন্ত হয়নি এখনও।

অন্য দিকে হাঁসখালির নির্যাতিতার বাবা এবং মা বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের স্থানীয় বগুলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে মৃত নাবালিকার বাবার শরীরে জলের ভাগ কমতে শুরু করে। তার মা জ্বরে আক্রান্ত। মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন দুজনেই। চিকিৎসার জন্য বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের ভর্তি থাকার পরামর্শ দেন। সেই মতো তাঁদের ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের দু’জনের।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় গোটা ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেছেন।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)