সরকারি রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্রপাচার, ধৃত ৪

সরকারি রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্রপাচারসরকারি রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্রপাচার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইছাপুরের সরকারি রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্রপাচার হয়, সোমবার ফের প্রকাশ্যে এল সেই খবর। রবিবার বিকেলে বাবুঘাট থেকে ছয় জন অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করেছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই অস্ত্র কারখানার দুই অফিসারকেও। ধৃতদের কাছ থেকে ৭টি ওয়েবলি স্কট রিভলভার, একটি কার্বাইন, ১০ রাউন্ড বুলেট এবং কার্বাইনের দু’টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে।

 পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অজয়কুমার পাণ্ডে, জয়শঙ্কর পাণ্ডে, উমেশ রায়, কার্তিক সাউ, সুখদা মুর্মু এবং সুশান্ত বসু। এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক পুলিশ তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে সুখদা ও সুশান্ত অস্ত্র কারখানার জুনিয়র ওয়ার্কাস ম্যানেজার। উমেশ ও কার্তিক জঞ্জাল সাফাইয়ের ঠিকাদার।

কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এসটিএফ) মুরলীধর শর্মা এ দিন জানান, ‘‘অজয় ওই চক্রের চাঁই। অস্ত্র পাচারের অভিযোগে বিহারে সে গ্রেফতার হয়েছিল। মাস কয়েক আগে ১৬টি ইনস্যাস রাইফেল এবং চারটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল কলকাতা থেকে নিয়ে বিহারের মাওবাদীদের বিক্রি করেছে।’’ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ফোনে বা দরদস্তুরের সময় রিভলভার বা রাইফেল না বলে  সাঙ্কেতিক শব্দ ব্যবহার করত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, গত কয়েক বছরে ওই কারখানা থেকে প্রায় তিনশো অস্ত্র বিহার ও ঝাড়খণ্ডে পাচার করা হয়েছে।

গত বছর পুজোর আগে ইছাপুর থেকে অস্ত্রের যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগে ওয়ার্কস ম্যানেজার শম্ভু ভট্টাচার্য ও ঠিকাদার দীপক সাউ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। শম্ভু লুকিয়ে ইনস্যাস রাইফেলের যন্ত্রাংশ নিয়ে বাইরে আনত। দীপকের মাধ্যমে তা পাচার হত। ফের একই ধরনের ঘটনা ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির মতো গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অজয়রা জেরায় স্বীকার করেছে, পঞ্জাব-সহ দেশের অন্য অস্ত্র কারখানাতেও তাদের যোগসাজশ রয়েছে।

এল ক্লাসিকো, ৪৫ মিনিট ১০ জনের বার্সাকে হারাতে পারল না রিয়েল

গোয়েন্দাদের দাবি, ওয়েবলি স্কট রিভলভার ইছাপুরেই তৈরি হয়। তবে কার্বাইন কোথা থেকে আনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুখদা এবং সুশান্ত অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কাগজে-কলমে বাতিল হিসেবে দেখাতেন। তার পরে উমেশ এবং কার্তিকের মাধ্যমে তা চলে যেত অজয়ের হাতে। নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকায় মূল গেট দিয়ে যন্ত্রাংশ পাচার হত না। সুখদা এবং সুশান্তের পরিকল্পনামাফিক নিরাপত্তার ফাঁক গলে পাঁচিল টপকে ওই সরঞ্জাম নিয়ে বেরোত উমেশ ও কার্তিক। গুড্ডু বদলে তার শাগরেদরাই বেশি আসত অস্ত্র নিতে।