বিক্ষোভের আবহে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদী, রাজভবনে দেখা করলেন মমতা

বিক্ষোভের আবহে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদীবিক্ষোভের আবহে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদী। রাজভবনে দেখা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিক্ষোভের আবহে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদী পৌঁছলেন। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে রেস কোর্স। তার পর সোজা রাজভবন। আর সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে তাঁর একান্তে বৈঠকও হয় এ দিন।

প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসার আগে এ দিন সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয় বাম এবং কংগ্রেস। কোনও রকমের দলীয় পতাকা হাতে না নিয়ে মূলত কালো কাপড়, বেলুন হাতে আর মুখে, পোস্টারে-ফেস্টুনে ‘গো ব্যাক মোদী’— গোটা শহর বিক্ষোভে কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ধর্মতলা চত্বরে মোদী সরকার বিরোধী ধর্না মঞ্চের ডাক দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

সেই আবহেই এ দিন রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেস কোর্স থেকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় রাজভবনে পৌঁছে যাওয়ার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা। তার পর দু’জনের মিনিট পনেরো কথা হয়। বৈঠক শেষে রাজভবনের বাইরে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের যা পাওনা আছে সেই সংক্রান্ত কথা তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বলেছেন। সেই সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি), সংশোধিত নাগরিক আইন (সিএএ) এবং জাতীয় জমসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর) যে তাঁর সরকার মানবে না, সে কথাও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলে মমতা দাবি করেন।

বিক্ষোভের আবহে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদী

বিক্ষোভের আবহে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদী

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী এলে আমি দেখা করি। এ বারও করলাম। প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। এ ছাড়া বুলবুলের জন্য সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। সেই পাওনা টাকা চেয়েছি।’’

এর পরেই মমতা বলেন, ‘‘আমি আরও এখটা কথা বলেছি প্রধানমন্ত্রী। বলেছি, দেখুন আপনি এখানে এসেছেন, আমাদের অতিথি। অতিথিকে এ কথা আমার বলা উচিত কি না জানি না। তা-ও বলছি। আমরা এনআরসি সিএএ এবং এনপিআরের বিরোধী।  মানুষে মানুষে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা। কোনও মানুষের ওপরে যেন অত্যাচার না হয় সেটা দেখা উচিত। আমি চাই সিএএ, এনপিআর, এনআরসি প্রত্যাহার করা হোক। আপনারা বিষয়টা বিবেচনা করুন।’’

জবাবে কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? সে কথাও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আর্থিক পাওনার ব্যাপারে উনি বলেছেন কাগজপত্র দেখবেন। আর বাকি ব্যাপারে বলেছেন, প্রয়োজনে দিল্লিতে গিয়ে কথা বলতে।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)