দার্জিলিংয়ের গ্লেনারিজ এখন আইসোলেশন সেন্টার, খুলে যাবে বুধবার

দার্জিলিংয়ের গ্লেনারিজ

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: দার্জিলিংয়ের গ্লেনারিজ নিয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের মধ্যে অনেক আবেগ রয়েছে। দার্জিলিং মানেই কেভেন্টার্স আর গ্লেনারিজ বাঁধা। এই তো করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে যখন আবার সবাই মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছিল, খুলে দেওয়া হয়েছিল ট্রেন, বেড়ানোর জায়গা, হোটেল, রেস্টুরেন্ট—তখনই দলে দলে মানুষ ভিড় করেছিলেন এই দার্জিলিংয়েই। কেভেন্টার্স আর গ্লেনারিজের সামনের দীর্ঘ লাইন প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। বছরের শেষ আর বছরের শুরুতেও ভ্রমনার্থীদের দু’হাত বাড়িয়ে আহ্বান জানিয়েছে শৈলশহর। কিন্তু চিত্রটা আবার বদলে গিয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তছনছ করে দিয়েছে গোটা দেশকে। দিয়েছে বললে ভুল হবে এখনও মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটছে প্রতিদিন। কাতারে কাতারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন। ভোটের বাজারে বাংলা চুপ করে থাকলেও ভোট কাটতেই করোনার ভয়াবহ রূপ দেখতে পাচ্ছে বঙ্গবাসী। বাদ পড়েনি দার্জিলিংও। উত্তরবঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে রক্তচক্ষু দেখা দার্জিলিং।

স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে গ্লেনারিজ কর্তৃপক্ষ পাশে দাঁড়িয়েছে দার্জিলিংয়ের মানুষের। যেখানে ঢুকলেই মম করত দার্জিলিং টি, চকলেট পেস্ট্রির গন্ধ বা কন্টিনেন্টালের ফ্লেভার একবার চাখলে দ্বিতীয়বার না গিয়ে পারা যেত না, সেই গ্লেনারিজ এবার মানুষের স্বার্থে অন্যরূপে সাজতে চলেছে। দার্জিলিংয়ের আইসোলেশন সেন্টার এবার গ্লেনারিজে। সব ঠিক থাকলে বুধবারই খুলে দেওয়া হবে এই আইসোলেশন সেন্টার।

প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। বেড, অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার কাজ চলছে যাতে অক্সিজেনের অভাবে কোনও মানুষ দার্জিলিং পাহাড়ে না প্রাণ হারায়। ৫০০-র উপর আক্রান্ত এখন এই জেলায়। যে দার্জিলিং গ্লেনারিজকে এই পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি সংস্থার মালিক। খোলা থাকছে বেকারি। তবে এই পরিস্থিতিতে আদৌ তার প্রয়োজন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সংস্থার। কারণ এখন কোনও ট্যুরিস্ট নেই সেখানে। আর দার্জিলিংয়ের পুরোটাই ট্যুরিস্ট নির্ভর। তেমন হলে বন্ধ রাখা হবে সেটাও বলে জানানো হয়েছে।

সেখানকার আর এক বিখ্যাত প্রাচীন রেস্টুরেন্ট কেভেন্টার্সে অবশ্য তেমন কোনও সুযোগ নেই। পুরোটাই খোলা আকাশের নিচে। একটা অংশ অবশ্য নতুন করে তৈরি করা হয়েছে তবে সেটাও হাসপাতাল তৈরি করার মতো নয়। যে কারণে গ্লেনারিজকেই বেছে নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে আপাতত ২০টি বেড রাখা হচ্ছে। ক্রমশ তা বাড়িয়ে ৪৫ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ভেন্টিলেশন থাকছে না। এই ব্যবস্থা দার্জিলিংয়ের মানুষদের স্বস্তি দেবে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)