সহবাসের ছবি বাবা-মাকে দেখিয়ে দেবে প্রেমিকা! আত্মঘাতী প্রেমিক

সহবাসের ছবিসৌরভ ঘোষ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সহবাসের ছবি ছিল মোবাইলে। দু’জনের কোনও এক ঘনিষ্ঠতম মুহূর্তে তোলা হয়েছিল। কিন্তু, সম্পর্কের অবনতি হতেই সেই ছবি প্রেমিকের বাবা-মাকে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রেমিকা। শুধু তাই নয়, গোপন মেসেজও ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলে সে। চাপের মুখে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল বছর বাইশের তরুণ সৌরভ ঘোষ।

পুলিশ জানিয়েছে, সৌরভের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। গত ১৯ জুলাই ওই তরুণ উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে তাঁর এক দাদার বাড়িতে আসে। সেখানে ওই দিনই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বারাসত জেলা হাসপাতাল, পরে বাঘাযতীনের কাছে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গত ২১ জুলাই সৌরভ মারা যান।

বুধবার সৌরভের তোলা একটি ভিডিয়ো সোনারপুর থানার পুলিশের হাতে এসেছে। সেখানে বন্ধুদের উদ্দেশে এক ভিডিয়ো বার্তায় সৌরভ জানিয়েছেন, পূজা দাস নামে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েক বছরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয় দু’জনের। কিন্তু, কলেজ স্ট্রিটে একটি বইয়ের দোকানে কাজ করা সৌরভ কোনও ভাবেই পূজার চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না। রোজগারের সব টাকাই খরচ হয়ে যাচ্ছিল পূজার নানা আবদার মেটাতে গিয়ে। বন্ধুদের সে জানিয়েছে, পূজা তাঁর জীবন শেষ করে দিয়েছে। এর আগেও অনেক বার পূজা তাঁকে শেষ করার চেষ্টা করেছে। অথচ পূজা যখন যা চেয়েছে‌ন, সৌরভ তাই দিয়েছেন। যখন আবদার মেটাতে পারছেন না সৌরভ, তখন তাঁর বাবা-মাকে সব বলে দেওয়ার হুমকি দিতেন পূজা। এমনকি শারীরিক সম্পর্কের ভিডিয়ো পর্যন্ত! বাধ্য হয়ে সে সব দিয়েছেন সৌরভ।

মায়ের সঙ্গে প্রথম দেখা মেয়ের, ভাষা সমস্যায় হল না কোনও কথা!

ইদানীং সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা ভাবচিলেন সৌরভ। কিন্তু, তাতে হুমকির মাত্রা বেড়ে যায়। তার ফলেই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছেন সৌরভ। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই সৌরভের পরিবার পুলিশে অভিযোগ করেন পূজা দাসের নামে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোনারপুরে সৌরভের বাড়ির পাশেই পূজার মামার বাড়ি। সেই সুবাদেই দু’জনের পরিচয় এবং প্রেম। সম্প্রতি সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা বলতেই সৌরভকে লোকজন দিয়ে মারধর করে পূজার মামা-মামি। এমনকি, সৌরভের বাবা-মাকে হুমকিও দেওয়া হয়।

পুলিশের কাছে পূজা, তাঁর বাবা-মা এবং মামা-মামির নামে অভিযোগ দায়ের করেছে সৌরভেপ পরিবার। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ