মোবাইল ভেঙে যাওয়ায় আত্মঘাতী ছাত্রী, দরজা ভেঙে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

মোবাইল ভেঙে যাওয়ায় আত্মঘাতী ছাত্রীমোবাইল ভেঙে যাওয়ায় আত্মঘাতী ছাত্রী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মোবাইল ভেঙে যাওয়ায় আত্মঘাতী ছাত্রী, দরজা ভেঙে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করলেন স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার পূর্ব আনন্দপল্লিতে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলন দাস নামের ওই ছাত্রী স্থানীয় বিনয় বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা কর্মসূত্রে গুজরাতে থাকেন। আনন্দপল্লির বাড়িতে দোলন তার মা ও দাদার সঙ্গে থাকত।


আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সামনেই দোলনের মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সে সব সময়েই ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকত। তা নিয়েই মাঝে মাঝেই মেয়েকে বকাবকি করতেন। ফোনও কেড়ে নিতেন মাঝে মাঝে।

সোমবারও একই রকম ভাবে মায়ের সঙ্গে মোবাইল নিয়ে বচসা হয় দোলনের। অশান্তির সময় মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিতে যান মা রীতা। সেই সময় মোবাইলটি ছিটকে পড়ে ভেঙে যায়। এর পরই নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় দোলন। প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি তাঁর মা। কিছু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পর মেয়ের কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রীতা তার দরজায় ধাক্কা দেন। তাতেও কোনও সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশী এবং স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের কাছে যান। এর পর দরজা ভেঙে দোলনের ঘরে ঢুকে দেখা যায়, সিলিং ফ্যান থেকে রীতার শাড়ি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে দোলন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে।

সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, ওই কিশোরী মারা গিয়েছে। তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সর্ব ক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকত দোলন। তার ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছিল। এই নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েক বার মা রীতা বকাঝকা করেছেন মেয়েকে। এ দিন সেই ঝামেলার জেরে দোলনের মোবাইল ভেঙে যায়। তার পরেই সে আত্মঘাতী হয়।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

অশান্তির সময় মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিতে যান মা রীতা। সেই সময় মোবাইলটি ছিটকে পড়ে ভেঙে যায়। এর পরই নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় দোলন। প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি তাঁর মা। কিছু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পর মেয়ের কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রীতা তার দরজায় ধাক্কা দেন। তাতেও কোনও সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশী এবং স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের কাছে যান। এর পর দরজা ভেঙে দোলনের ঘরে ঢুকে দেখা যায়, সিলিং ফ্যান থেকে রীতার শাড়ি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে দোলন।