জোড়া খুন গড়িয়াহাটে, আইআইটি-আইআইএম প্রাক্তনীর সম্পত্তিই কি কারণ

গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জোড়া খুন গড়িয়াহাটে, কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল খড়্গপুর আইআইটি এবং জোকা আইআইএমের প্রাক্তনী সুবীর চাকীর রক্তাক্ত দেহ। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ওই বাড়ির দোতলার ঘর থেকে। একই সঙ্গে তিনতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহও। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান, লুঠের কারণেই খুন করা হয়েছে সুবীরকে। তবে তার স্বপক্ষে জোরালো কোনও প্রমাণ এখনও গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি বলেই লালবাজার সূত্রে খবর। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ গোয়েন্দারা।  তবে এর পিছনে সম্পত্তি বা অর্থনৈতিক কোনও লেনদেনের ঘটনা যুক্ত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।

সুবীর এবং রবীনের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’জনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়েছে। সুবীরের পা এবং গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। রবীনেরও গলা, পা ও শরীরের পিছন দিকে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। তবে তদন্তকারীদের লুঠের তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদি লুঠের জন্যই সুবীরকে খুন করা হবে, তা হলে কেন প্রাণ হারাতে হল তাঁর গাড়ির চালককে? তদন্তকারীদের বক্তব্য, পরিচিত কোনও লোকই সুবীরকে খুন করেছে। গাড়িচালক রবীন তাকে চিনে ফেলায় প্রমাণ লোপাট করতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবীর খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি জোকা আইআইএমেও পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করতেন। চাকরি সূত্রে দীর্ঘ দিন মুম্বইয়ে ছিলেন। পরে কলকাতায় ফিরে আসেন। তাঁর এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে বৈবাহিক সূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। আর ছেলে লন্ডনে কর্মরত। স্ত্রী, মা এবং শাশুড়িকে নিয়ে সুবীর নিউটাউনের কাছে একটি বাড়িতে থাকতেন। কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি তালাবন্ধ থাকত। বছরখানেক ধরে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ি বিক্রির জন্য সুবীর খরিদ্দার দেখছিলেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন ওই বাড়ি দেখেও গিয়েছেন। রবিবার তেমনই এক জনকে বাড়ি দেখাতে এসেছিলেন সুবীর। তাঁকে একটি মার্সিডিজ গাড়ি চালিয়ে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন রবীন।

সুবীরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনের বাড়ি থেকে বেরনোর কয়েক ঘণ্টা পর সুবীরের স্ত্রী তাঁর মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু যোগাযোগ হয়নি। কারণ সুবীরের ফোন ‘সুইচড অফ’ ছিল। কিন্তু রাত পর্যন্ত ফোনে না পেয়ে শেষমেশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সোমবার সকালে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ গিয়ে কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়ির দোতলা থেকে সুবীর এবং তিন তলার একটি ঘর থেকে রবীনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে ওই দু’জনকে খুন করা হয়েছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)