গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও দুই, ভিকি অধরাই

গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত দু’জনেরই বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার এখনও অধরা। শুক্রবার যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ভিকির বন্ধু বলেই তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে ভিকির মা মিঠু হালদারও রয়েছে। সে আপাতত পুলিশি হেফাজতে।

শুক্রবার ভোরে সুন্দরবন পুলিশ জেলার গোবর্ধনপুর উপকূল থানার বুড়োবুড়ির তট থেকে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বাপি মণ্ডল এবং জাহির গাজী। দু’জনেই ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার বাসিন্দা। মিঠু মোটা টাকার কাজের টোপ দিয়ে ওই দু’জনকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল বলে তদন্তাকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। তারাও খুনের ঘটনায় জড়িত বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে খুন হন কর্পোরেট-কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডল। গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ গত বুধবার ডায়মন্ড হারবার থেকে মিঠুকে গ্রেফতার করে। জেরায় সে জানায়, তার ছেলে ভিকি এবং কয়েক জন মিলে ওই দু’জনকে লুঠের উদ্দেশ্যে খুন করেছে। মিঠুকে জেরা করেই ভিকির দুই বন্ধুর নাম জানা যায়। বাপি ডায়মন্ড হারবারের রামরামপুরের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী বন্দনা পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সূত্রেই মিঠুর সঙ্গে তার পরিচয়। পুজোর আগে মিঠুই বাপিকে কলকাতায় মোটা টাকার কাজের টোপ দেয়। এর পর স্থানীয় মঞ্জিতার বাসিন্দা জাহিরকে নিয়ে কলকাতায় রওনা দেয় বাপি।

ভিকির পাশাপাশি বাপি এবং জাহিরও ওই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে দাবি তদন্তকারীদের। তবে মিঠু গ্রেফতার হওয়ার হতেই বাপি ও জাহির দু’জনেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বুড়োবুড়ির তটে বাপির দিদির বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিল তারা। এ দিন ভোরে সুন্দরবন পুলিশের সহযোগীতায় ওই দু’জনকে আটক করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতায় নিয়ে এসে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ি কিনবে বলে সুবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিকি। রবিবার বাড়ি দেখতে এসে সুবীরের পরে থাকা আংটি এবং মানি পার্স ভয় দেখিয়ে কেড়ে নেয় ভিকি। সুবীর সেই সময় তাকে চিনতে পারেন। এর পরেই সুবীরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সে। রবীন চিৎকার শুনে সেখানে এলে তাঁকেও মেরে ফেলা হয়।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকি একা নয়, ওই সময় ঘটনাস্থলে আরও তিন-চার জন ছিল। খুনের পর তারা সবাই ঢাকুরিয়া স্টেশনে চলে যায়। সেখানে তখন তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল মিঠু। তার হাতেই রক্তমাখা জামাকাপড় দিয়ে কাজে চলে যায় ভিকি। মিঠু ফিরে যায় ডায়মন্ড হারবারে। বুধবার সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেই গ্রেফতার করা হল আরও ২ জনকে। ভিকির সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)