কলকাতায় ফের গণধর্ষণ, পার্ক সার্কাসের ঘটনায় ধৃত ৩

কলকাতায় ফের গণধর্ষণকলকাতায় ফের গণধর্ষণ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কলকাতায় ফের গণধর্ষণ, এ বার পার্ক সার্কাস রেল স্টেশনের কাছে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পর তিন জনকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। ধৃতদের নাম বাপি মণ্ডল, সঞ্জীব সিংহ এবং ইন্দ্রজিৎ পাত্র। গ্রেফতার হওয়া সকলের বাড়ি মধ্য কলকাতার এন্টালির ক্রিস্টোফার রোডে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা ওই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর বোনপো পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বুধবার রাতে তিনি হাসপাতালে ছিলেন। রাত ১টা নাগাদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি পার্ক সার্কাস এবং গুরুদাস হল্ট স্টেশনের মাঝামাঝি একটা ফাঁকা জায়গায় যান। সেই সময় তিন জন যুবক তাঁকে রেললাইনের পাশে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ শিয়ালদহ জিআরপিতে ফোন করে গুরুদাস হল্ট স্টেশন সংলগ্ন এলাকার এক বাসিন্দা জানান, রেললাইনের পাশে কয়েক জন যুবক এক মহিলাকে ধর্ষণ করছে। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু, কোনও মহিলা বা ওই রকমের কোনও ঘটনা তাদের নজরে আসেনি। এলাকার বাসিন্দারা জানান, তাঁরা তিন জন যুবককে দেখেছেন। চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে তারা পালিয়ে গিয়েছে। আর ওই মহিলাকে পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে।

শিয়ালদহ জিআরপিতে ওই মহিলা তিন অভিযুক্তের নাম-সহ লিখিত ভাবে গণধর্ণের অভিযোগ জানান। ধর্ষণের সময়ই তিনি অভিযুক্তদের নাম জানতে পেরেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই যুবকদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগকারিণীকে এনআরএস হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। জিআরপি জানায়, ধৃতদেরও ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। আদালতের কাছে মহিলার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করার আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বিকেলে ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তিন জনকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

ডায়াবেটিস আসলে নিঃশব্দ খুনি, কিন্তু পরিশীলিত জীবনযাপনই পারে তাকে ঠেকাতে

তবে, মহিলার বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। হাসপাতালে শৌচাগার থাকলেও গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মহিলা কেন প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে রেললাইনের পাশে গেলেন কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কী ভাবে তিনি এতটা পথ এলেন তা-ও স্পষ্ট ভাবে জানাননি অভিযোগকারিণী। কী ভাবে অভিযুক্তদের নাম তিনি জেনেছিলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে, ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট এবং ঘটনার পুনর্নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটবে না বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।