সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য, গান স্যালুটে বিদায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্নসুব্রত মুখোপাধ্যায়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। শুক্রবার বিকেলে এখানেই গান স্যালুটে বিদায় জানানো হল রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২২ মিনিটে তিনি এসএসকেএম হাসপাতাল‌ে প্রয়াত হন। রাতেই তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তপসিয়ার পিস ওয়ার্লডে। এ দিন সকালে সেখান থেকে দেহ বার করে রাখা হয় রবীন্দ্রসদনে। সেখান থেকে বিধানসভা, বালিগঞ্জের বাসভবন হয়ে কেওড়াতলা মহাশ্মশান।

সুব্রতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে হাজির হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক। এসেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার আগে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বালিগঞ্জে তাঁর বাসভবনে। সুব্রতর শেষযাত্রায় সঙ্গে ছিলেন তাঁর দলীয় সতীর্থরা। প্রচুর মানুষ ভিড় জমান তাঁর শেষযাত্রায়। একডালিয়া এভারগ্রিনের সামনে অনুগামীদের প্রবল ভিড় ঠেলেই বার করা হয় সুব্রতর দেহ। সেখান থেকেই কেওড়াতলা নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২২ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন সুব্রত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ২৪ অক্টোবর, রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে যাওয়ার পরেই সুব্রতকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় উডবার্ন ওয়ার্ডের আইসিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রবীণ সুব্রত। রাতেই তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখান থেকে এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ সুব্রত দেহ বার করা হয়। ১০ থেকে সুব্রতর দেহ শায়িত ছিল রবীন্দ্র সদনে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষযাত্রায় থাকবেন না। বৃহস্পতিবারই রাতেই তিনি বলেছিলেন ‘‘আমি সুব্রতদার মরদেহ দেখতে পারব না।’’ ১৯৭২ সালে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন সুব্রত। তার পর একাধিক বার বিধায়ক এবং মন্ত্রী হয়েছেন তিনি। এ বছরও বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে জিতে তিনি মন্ত্রী হন। সুব্রতর প্রয়াণে রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরে শুক্রবার অর্ধনমিত ছিল জাতীয় পতাকা।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)