ফুটবলারের রহস্যজনক মৃত্যু হল কলকাতায়

ফুটবলারের রহস্যজনক মৃত্যু
জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফুটবলারের রহস্যজনক মৃত্যু হল কলকাতায়। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ লেক গার্ডেন্স স্টেশনের কাছে রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামে ওই ফুটবলার ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান। তবে তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে।
অনূর্ধ্ব-১৬ বাংলা ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন রণজিৎ। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন তিনি পোর্ট ট্রাস্ট-সহ ময়দানের বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন। কলকাতা পুলিশের হয়ে ‘ফ্রেন্ডশিপ কাপ’-এ খেলার পর জার্মানিতে গিয়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। তবে, বর্তমানে বছর আটত্রিশের রণজিৎ অটো চালাতেন। প্রাথমিক তদন্তের পর রেলপুলিশ জানতে পারে, ওই দিন রাত ১০টা নাগাদ লেকগার্ডেন্স স্টেশনের কাছে বজবজ লোকালের ধাক্কায় মারা যান। রেলের তরফেও একই কথা জানানো হয়েছে। ঘটনার পর ট্রেনটির চালক এবং গার্ড বালিগঞ্জের স্টেশন ম্যানেজারকে লিখিত ভাবে এমনটাই জানিয়েছিলেন।
চারু মার্কেট থানা এলাকার সুলতান আলম রোডে রণজিতের বাড়ি। তাঁর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ঘেঁটে রেলপুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ঘটনার আগে তিনি দু’জনকে এসএমএস করে জানিয়েছিলেন, আত্মহত্যা করতে চলেছেন। শেষ এসএমএস পাঠানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে। এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর রণজিতের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এমন ঘটনা ঘটল? ওই যুবক কেন আত্মহত্যা করেছেন? পারিবারিক কোনও গোলমালের কথা শোনা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁদের ওই মেসেজ পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রণজিতের পরিবার ও বন্ধুরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খেলা দেখে রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর ভিতর কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।
তবে রণজিতের স্ত্রী জানান, এক যুবককে নতুন একটি অটোর পারমিট বার করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্য এক ব্যক্তি কয়েক মাস আগে আড়াই লক্ষ টাকা নেন। এই বিষয়টিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন রণজিৎ। কিন্তু ওই যুবক অটোর পারমিট পাননি। আবার ওই ব্যক্তি টাকাও ফেরত দিচ্ছিলেন না। শুক্রবার সন্ধ্যায় নাকি ওই যুবক বেশ কয়েক জনকে নিয়ে রণজিতের বাড়িতে এসে তাঁর খোঁজ করে। তখন রণজিৎ বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে ওই যুবকদের দেখা হয়নি। এর পরেই ট্রেনে ধাক্কার ঘটনা ঘটে। রণজিতের পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবকদের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ থাকতে পারে। তবে, এখনও এই নিয়ে কোনও অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়েনি।