কান ধরে ওঠবোস করানো হল দলেরই এক মহিলা কর্মীকে, অভিযুক্ত তৃণমূল    

কান ধরে ওঠবোসকান ধরে ওঠবোস। এই ছবিই শোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কান ধরে ওঠবোস করানো হল তাঁকে। কারণ, তিনি ভোটের দিন বুথ জ্যামের প্রতিবাদ করেছিলেন। তৃণমূলের এক কর্মীকে জুতো দেখিয়েছিলেন। যদিও সবটাই অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কবিতা পাত্র নামে তৃণমূলের এক মহিলা কর্মীকে ৩০০ বার কান ধরে ওঠবোস করানো হল। গ্রাম ঘোরানো হল জুতোর মালা পরিয়ে! পশ্চিম মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাগডুবিতে তৃণমূলেরই কয়েক জন কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ইঠেছে।

এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপাতত ভাইরাল। জানা গিয়েছে, ঘটনার কথা জানতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসক দলের অন্দরেও। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, এই ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। এমনটা ঘটে থাকলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটের দিনে কবিতা বুথ জ্যামের প্রতিবাদ করেছিলেন। তৃণমূলের এক কর্মীকে জুতো দেখিয়েছিলেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় এমন শাস্তি তাঁকে পেতে হবে তা ভাবেননি কবিতা।

হেনস্থার শিকার ওই মহিলা তৃণমূল কর্মীর নাম কবিতা পাত্র। তাঁর স্বামী গোপাল পাত্র গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকা থেকেই তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন। এ বার আসনটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি দাঁড়াননি। তবে তিনি এখনও পঞ্চায়েতের সদস্য। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীও। এই ঘটনার পর তিনি আর তৃণমূল করবেন কি না তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।

চার দিক সবুজে সবুজ পঞ্চায়েত, মাঝে মাঝেই গেরুয়া ছোঁয়া

কেন কবিতার সঙ্গে এমনটা করা হল?

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটের দিনে কবিতা বুথ জ্যামের প্রতিবাদ করেছিলেন। তৃণমূলের এক কর্মীকে জুতো দেখিয়েছিলেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় এমন শাস্তি তাঁকে পেতে হবে তা ভাবেননি কবিতা। শুক্রবার বিকেলে প্রথমে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়ে ডাকা হয় গোপালকে। পরে কবিতাকেও। দলীয় অফিসের মধ্যেই শালিসি সভা বসে। কেন তিনি ভোটের দিন অমনটা করেছিলেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এর পর ওই ঘটনার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন কবিতা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য শুধু ক্ষমা চাওয়ায় ছাড় দেননি। জুতোর মালা পরে গ্রামে ঘোরানোর বিধান দেওয়া হয়। সঙ্গে সকলের সামনে কান ধরে ওঠবোস! সেই বিধান মতো কবিতাকে জুতোর মালা পরে গ্রাম ঘোরানো হয়। সঙ্গে ৩০০ বার কান ধরে ওঠবোস। সেই ছবিও গ্রামের বাইরে চলে আসে।

ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে এ বার তৃণমূল পেয়েছে ১১টি, বিজেপি ৪টি, নির্দল ১টি। গতবার তৃণমূল পেয়েছিল ১৪টি, সিপিএম ২টি।