তৃণমূলে ফেরার ঢল, নির্বাচনের আগে সব যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে

তৃণমূলে ফেরার ঢল

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: তৃণমূলে ফেরার ঢল শুরু হয়ে গিয়েছে, চলছে নানা কাণ্ড। এক এক করে অনেকেই বিজেপি ছেড়ে ফিরতে চাইছে তৃণমূলে। কোউ দিদির আঁচলের তলায় তো কেউ মায়ের ঘরে। কেউ কেউ আবার চুপিসারেই সারছেন কাজ। যাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে না বেরিয়ে পড়ে তাহলেই বিপদ। এদিকে যদি তৃণমূল ফেরৎ না নেয় তাহলে বিজেপিও আর থাকতে দেবে না। তাহলে ‘না ঘরটা না ঘাটকা’ হাল হবে। তলায় তলায় শোনা যাচ্ছে অনেকেই ইতিমধ্যে পুরনো দলে ফেরার আবেদন জানিয়েছে। তবে এই নিয়ে এখনও একটিও কথা বলেন‌নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার সোনালী আর রবিবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন সরলা মূর্মূ ও অমল আচার্য। সরলা দল ছেড়েছিলেন কারণ তিনি তাঁর কেন্দ্র নিয়ে খুশি ছিলেন না যেখান থেকে তাঁকে লড়তে দেওয়া হয়েছিল। মেনে নিয়েছেন দল বদলটা তাঁর ভুল ছিল। এবং এখন তিনি চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ক্ষমা করে দিক।

সরলা মূর্মূ বলেন, ‘‘উনি যদি আমাকে গ্রহন করেন আমি তাহলে তাঁর সঙ্গে থাকব এবং পার্টির জন্য কাজ করব। আমি একটা ভুল করেছিল এবং চাই দিদি আমাকে সেটার জন্য ক্ষমা করে দিন।’’মালদহের হাবিবপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল। পরে জানা যায় তিনি মালদহ থেকে লড়তে চেয়েছিলেন। তাঁর পাশাপাশি এদিন দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্য। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

এদিন তিনি সুব্রত, ফিরহাদ, মদনের গ্রেফতারের নিন্দা করে বলেন, ‘‘এর পর আর বিজেপি সম্পর্কে কিছু বলার নেই। মনে আঘাত পাচ্ছি। বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ভগবানের কাছে প্রার্থণা দিদিকে লড়াইয়ের শক্তি দাও। আমরা যেন তাঁর পাশে থেকে কাজ করতে পারি।’’

যেভাবে কেঁদে কেটে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সোনালী গুহ এবার সেই একই পথে তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন টুইট করে। কারণ এবার বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি দিদি। এবার ফিরতে চেয়ে তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘যেভাবে মাছ জল ছাড়া থাকতে পারে না সেভাব আমিও আপনাকে ছাড়া থাকতে পারব না দিদি। আমাকে ক্ষমা করে দিন, না করলে বাঁচতে পারব না। আমাকে ফেরার অনুমতি দিন। বাকি জীবনটা আপনার আঁচলের তলায় কাটাতে চাই।’’

কে ফিরবেন, কে ফিরবেন না, আদৌ এই দলবদলের দলে নাম লেখানোদের ক্ষমা করবেন কিনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা সময়ই বলবে। তবে নির্বাচন জিতে মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সবার জন্য দরজা খোলা। এদিন দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘‘কাকে ফেরানো হবে না হবে সেই সিদ্ধান্ত দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবে। আর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নেবে। তা নিয়ে এখনই বলার সময় আসেনি।’’

এই মুহূর্তে কোভিড নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে অশনী সঙ্কেত দিচ্ছে ইয়াস সাইক্লোন। যা নিয়েই কাটছে ২৪ ঘণ্টা। এই সব ঠান্ডা না হলে এই দল ছেড়ে আবার দলে ফিরতে চাওয়াদের নিয়ে আপাতত ভাবার সময় নেই রাজ্য সরকারের তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)