তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস: বিজেপি উৎখাতের বার্তা মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতার মেয়ো রোডের সভা থেকে মূলত বিজেপির বিরুদ্ধেই তোপ দাগা হল। মঞ্চে একের পর এক বক্তা এসেছেন, তা সে যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই হোন বা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— সকলেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেছেন। শুধু তাই নয়, নানা ভাবে আক্রমণ করেছেন রাজ্য বিজেপিকেও।

মঙ্গলবার মেয়ো রোডের সভা থেকে বিজেপি বিরোধী সুরটা প্রথমেই বেঁধে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে তিনি অভিযোগ তোলেন, ‘‘ওঁরা সব সময় মেরে দেবেন, পুঁতে দেবেন, হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবেন, এ সব বলে হুমকি দেন। আমি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করতে চাই, কোন হাসপাতালে পাঠাবেন, যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানিয়েছেন? কোন মাটিতে পুঁতবেন, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনার ফসন বানিয়েছেন?’’

বিজেপি এত দিন ধরে দাবি করে এসেছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তারা এ রাজ্যে ২২টি আসন পাবে। কিন্তু অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘আগে ২২টা বুথে লোক দিয়ে দেখান, তার পর ২২টায় জেতার কথা ভাববেন।’’ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, তারও খতিয়ান এ দিন তুলে ধরেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে এই চার বছরে কোনও কাজ করেনি, সেই অভিযোগও তিনি বার বার করেছেন এ দিন। তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে ওদের নেতা নেই, দিল্লি থেকে নেতা আনতে হয়।’’

পরিস্থিতি সামলাতে বদল হচ্ছে রেলের ফ্লেক্সি ফেয়ার পদ্ধতির

অভিষেকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে উঠেও বিজেপি বিরোধী সুরটা আরও চড়া করেন। ছাত্রছাত্রীরাই যে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, সে কথা এ দিনের সভা থেকে বারংবার বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের অনেক দায়িত্ব। তোমরা শুধু আজকের জন্য নও। আজ-কাল-পরশু গড়ার কারিগর তোমরা। তোমাদের মধ্যে থেকেই আগামী দিনের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিধায়ক, সাংসদ, নেতা… সব তৈরি হবে।’’ এর পরেই তাঁ পরামর্শ, ‘‘কাজ করার জন্য কোনও লবি করার দরকার নেই। ভাল কাজ করলে মানুষ তোমাকে খুঁজে নেবে। কাজই তোমার পরিচয়।’’ এর পরেই তিনি সভায় হাজির সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। টাকা নিয়ে চরিত্র নষ্ট করতে নেই।’’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতার দাবি, ‘‘ওদের টাকা আছে, আমাদের টাকা নেই। আমাদের হৃদয় আছে। আমাদের ডেডিকেশন আছে।’’

রাজ্যে বিজেপিকে রুখতে তিনি ছাত্রছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও জোর দেওয়ার কথা বলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওরা একটা খারাপ কথা বললে, তোমরা তার ১০টা জবাব দেবে। জবাব দেখে যাতে পালিয়ে যায় ওরা।’’ তিনি জানিয়ে দেন, কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তাঁর নয়া স্লোগান, ‘‘দু হাজার উনিশ, বিজেপি হবে ফিনিশ’।