ই-মেলে মনোনয়ন, বৈধতা দিল উচ্চ আদালত

১৭ মে ২০২৩: কী কী ঘটল সারাদিনে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ই-মেলে মনোনয়ন, বৈধতা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবারের ঘটনা। আগেই হোয়াট্‌সঅ্যাপে মনোনয়নে মান্যতা দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ দিন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ই-মেলে পাঠানো সিপিএমের মনোনয়নপত্রকে বৈধতা দিতে হবে। আদালতের মত, ওই মনোনয়ন দেখার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনীহা দেখিয়েছে। ই-মেলে কী মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে, তা-ও খতিয়েও দেখেনি কমিশন। বিচারপতি নির্দেশ দেন, গত ২৩ এপ্রিল বিকাল ৩টে পর্যন্ত যাঁরা ই-মেলে কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র পাঠিয়েছে তাঁদের সকলের নাম বৈধ হিসাবে প্রার্থী তালিকায় রাখতে হবে।

এই মামলার আবেদনকারী সিপিএম, তাই এই নির্দেশ শুধুমাত্র তাদের প্রার্থীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্য বিরোধী দলগুলিও ই-মনোনয়ন দাখিল করেছে। বিজেপি জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে প্রথমে কমিশনে যাবে। সেখানে সুরাহা না মিললে ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে তারা।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সিপিএম আদালতের দ্বারস্থ হয়। জেলায় জেলায় বিডিও বা এসডিও অফিসে তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ই-মেল করে তা পাঠানো হয়। সেই মনোনয়নপত্রকে যাতে বৈধতা দেওয়া হয়, সেই আবেদনই আদালতে জানিয়েছিল তারা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ দিন বিচারপতি সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চে জানায়, ই-মেলে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কোনও সংস্থান পঞ্চায়েত আইনে নেই।

ইছাপুরের সরকারি রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্রপাচার হয়

রাজ্যের তরফেও কমিশনকে সমর্থন করা হয়। তারাও জানায়, আইনে এমন কোনও সংস্থান নেই। কিন্তু আদালত জানায়, প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করা প্রত্যেকেরই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার আছে। প্রত্যেক ভোটারেরও অধিকার রয়েছে, তাঁর পছন্দের প্রতিনিধিকে বেশি সংখ্যক প্রার্থীর ভিতর থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ। এটাই গণতান্ত্রিক নীতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মানুষের জীবন অমূল্য। কমিশন যদি ই-মনোনয়নকে মান্যতা দেয়, তা হলে নির্বাচনী সন্ত্রাস কমবে। ই-মনোনয়নকে বৈধতা দিলে তা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধাদানের এত অভিযোগও উঠবে না।

এর আগে হোয়াটস্অ্যাপে জমা দেওয়া মনোনয়নকে মান্যতা দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভাঙড় জমি রক্ষা কমিটির করা একটি মামলায় আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছিল। এ বার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ই-মেল। গত ২৩ এপ্রিল বিকাল ৩টে পর্যন্ত যাঁরা মনোনয়নপত্র ই-মেল করে কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই প্রার্থী হিসাবে নাম প্রকাশ করতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।